শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কোরিয়ায় আবিদা ইসলামের কাছে উজ্জ্বল বাংলাদেশের গল্প

প্রকাশিতঃ ৫ এপ্রিল ২০১৮ | ৯:৩৯ অপরাহ্ন

ওমর ফারুক হিমেল : ছোটকাল থেকেই চ্যালেঞ্জ ভালোবাসতেন। চলতেন সুন্দর, মঙ্গলালোকের পথে। চ্যালেঞ্জিং জীবন বেছে নেবেন, দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য কাজ করবেন-সেই কাজের জন্য ঘুরে বেড়াবেন বর্ণিল পথে, দেশ থেকে দেশান্তরে।

সেই ব্রত আর লক্ষ্য নিয়ে আশৈশব বেড়ে ওঠা, গড়ে তোলা আবিদার জীবন সতিই আজ চ্যালেঞ্জিং, বর্ণময়-ঠিক যেমনটা তিনি চেয়েছিলেন; দেশকে, দেশের মানুষকে দিতে দিতে জীবনটাকে উপভোগ যেমন করছেন, তেমনি ভাঙছেন একে একে সাফল্যের সিঁড়ি, যে সাফল্যের সঙ্গে মিশে আছে একটি উচ্ছ্বল, উজ্জ্বল বাংলাদেশের গল্প।

বলছিলাম বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের গৌরবোজ্জ্বল প্রতিনিধিত্ব করছেন বিশ্বের ১১তম অর্থনীতির দেশ দক্ষিণ কোরিয়ায়; সেই রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলামের কথা।

দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার সেতাবগঞ্জ এলাকায় এক সম্ভ্রান্ত ও শিক্ষিত পরিবারে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলামের জন্ম। বাবা প্রয়াত নজরুল ইসলাম ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান কর্মকমিশনে যোগ দিয়ে ক্রমান্বয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মা সেলিনা ইসলাম ছিলেন উন্নয়নকর্মী।

ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট’র শহীদ আনোয়ার গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি, রাজধানীর হলিক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ১৯৯১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজতত্ত্বে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন আবিদা ইসলাম। এরপর অস্ট্রেলিয়ার মনাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।

পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১৫ তম ব্যাচের মেধাবী এ সদস্য ১৯৯৫ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিসে যোগদান করেন। তিনি বিদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থা, দূরপ্রাচ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, আমেরিকা-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ও জঙ্গিবাদ এবং প্রশাসন। তিনি লন্ডনে বাংলাদেশ মিশন, কলম্বো এবং ব্রাসেলসে , লুক্সেমবার্গ চাকরি করেছেন। তিনি কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত, বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনে বাংলাদেশের প্রথম নারী ডেপুটি হাইকমিশনার (হেড অফ মিশন) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন, সেমিনার এবং সামিটে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন বরেণ্য এ কূটনীতিক। সর্বশেষ ঢাকা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমেরিকা উইংয়ে দেড়বছর কর্মরত থাকার পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নিয়োজিত হন।

ব্যক্তিগত জীবনে দুই সন্তান অরশাদ আহমেদ, আয়শা আহমেদ-এর জননী পেশাদার এ কূটনীতিক একুশে পত্রিকার সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন।

রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম কথোপকথন শুরু করেন ইতিবাচক গল্প দিয়ে। বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ সরকার বেসরকারি বিনিয়োগে সহায়ক ও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নীতির ক্ষেত্রে বেশ কিছু সংস্কার করেছে। ভারী ও তথ্য-প্রযুক্তির শিল্প প্রতিষ্ঠায়ও বিদেশি বিনিয়োগকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে যা দেশীয় আমদানিব্যয় কমাতে সাহায্য করবে। সম্প্রতি চট্টগ্রামের মিরসরাই ও কক্সবাজারের মহেশখালীতে দক্ষিণ কোরিয়ান ইপিজেড তৈরির জন্য ভূমি দেয়ার প্রস্তাবে বেশকিছু কোরীয় কোম্পানি বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণ বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে। জানান রাষ্ট্রদূত।

একুশে পত্রিকা : দক্ষিণ কোরিয়া চীন থেকে তাদের ব্যবসা মায়ানমার ও ভিয়েতনামের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, এ বিষয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস কোরিয়ান বিনিয়োগকারীদেরকে বাংলাদেশমুখী করতে কোনো উদ্যোগ নিয়েছে কিনা?

আবিদা ইসলাম : দক্ষিণ কোরিয়া বর্তমানে চীনে থাকা বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়ার মতো দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে সরিয়ে নিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের প্রধান টার্গেট কোরিয়ান বিনিয়োগকারীদেরকে উৎসাহ দেয়া, যাতে তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে। আশা করছি, এতে দেশে ব্যাপক বিনিয়োগ বাড়বে ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। চট্টগ্রামের মিরররাই ও কক্সবাজারের মহেশখালীতে দক্ষিণ কোরিয়ান ইপিজেড তৈরিতে ভূমি দেয়ার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সরকার। এর ফলে কিছু কোরীয় কোম্পানি বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণ বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে।


একুশে পত্রিকা : রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোরিয়ান সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি কী?

আবিদা ইসলাম : কোরিয়ান সরকার নির্যাতিত, নিপীড়িত রোহিঙ্গা জনগণের প্রতি রাজনৈতিক ও মানবিক সহযোগিতা প্রদান করছে। শুধু তাই নয়, জাতিসংঘে বাংলাদেশের পক্ষে প্রত্যক্ষ অবস্থান নিয়েছে, হিউমেটেরিয়ান সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে।

রোহিঙ্গারা যাতে তাদের ভূমিতে ফিরে যেতে পারে, সেজন্য বাংলাদেশ সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। এ জটিল সমীকরণে বহুমাত্রিক সম্পর্ক জড়িত। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকার ও রোহিঙ্গাদের পাশে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।

একুশে পত্রিকা : গত কয়েক বছরে নেপাল, মিয়ানমার, ভিয়েতনামে ইপিএসকর্মীর সংখ্যা বেড়েছে, সে তূলনায় বাংলাদেশের ইপিএসকর্মী বাড়েনি…

আবিদা ইসলাম : একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য ইপিএস(এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম) কর্মীরা আসে, কিন্তু অনেকে নির্দিষ্ট মেয়াদের পর দেশে ফেরত যাচ্ছে না। ফলশ্রুতিতে ইপিএসের কোটা অন্য দেশে চলে যায়। তাছাড়া ইপিএস পদ্ধতিতে যে সমস্ত কর্মী আসে তারা নিম্ন স্তরের দক্ষতাপূর্ণ কাজে কাজ করে। কিছু সমস্যাতো রয়েছে, এরমধ্যে অন্যতম খাবারের সমস্যা, খুঁটিনাটি বিষয়ে মালিক পক্ষের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হওয়া, ঘন ঘন চাকরি বদলানো, কেউ কেউ অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ে। এতে ইপিএস কোটার রেট কমে যায়। এরপরেও তুলনামূলকভাবে কর্মীর সংখ্যা বাড়ছে।

একুশে পত্রিকা : বাংলাদেশের কোরিয়ান ইপিজেডসমূহ নিয়ে কিছু বলুন?

আবিদা ইসলাম : বাংলাদেশের ইপিজেডগুলোতে অন্যতম বড় বৈদেশিক বিনিয়োগকারী হচ্ছে কোরিয়া। দেশটি ’৭০-এর দশকে বাংলাদেশে তৈরি পোশাক খাতে বিনিয়োগের পথপ্রদর্শক এবং ’৯০-এর শেষদিকে তাদের বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার। চট্টগ্রাম ও ঢাকায় বস্ত্র, চামড়া ও জুতাশিল্পে কোরিয়ার উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ রয়েছে। যাতে ৮০ হাজারের অধিক বাংলাদেশি কর্মরত আছেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে এদেশটি। মহেশখালী অর্থনৈতিক অঞ্চলে পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি, লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) টার্মিনাল এবং একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে বাংলাদেশের টি কে গ্রুপের সঙ্গে মিলে বিনিয়োগ করেছে কোরিয়ার নেতৃস্থানীয় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এসকে গ্রুপ। এটি উল্লেখযোগ্য দিক।

ইতিমধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, বিমানসেবা, ভিসা মওকুফ, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ, পরিবেশ এবং জনশক্তি রপ্তানির মতো বিভিন্ন খাতে চুক্তি ও সমঝোতাস্মারক সই করেছে কোরিয়া। কিছু সমঝোতাস্মারক সংশোধন এবং হালনাগাদ করতে হবে। কোরিয়ান কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে বহুমুখী চেষ্টা চালাচ্ছি। বর্তমান সরকার এক্ষেত্রে পরিপূর্ণ সহযোগিতা দিতে বদ্ধপরিকর।

কোরিয়া প্রায় পাঁচ হাজার পণ্যের শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা দিয়েছে। কিন্তু এখনো বাংলাদেশের জন্য অনেক সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র রয়েছে যা দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের নজরে আনতে হবে। দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশ থেকে ওষুধ, চামড়া এবং আরো পাট ও পাটজাত পণ্য আমদানি করে তাহলে আমাদের বর্তমান বাণিজ্যের উন্নতি হবে, দেশ এগিয়ে যাবে। কোরিয়ার বিনিয়োগকারীরা নির্মাণ, আইটি এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছে।

একুশে পত্রিকা : কোরিয়ানদের কোন বিষয়টি আপনাকে আকৃষ্ট করেছে?

আবিদা ইসলাম : কোরিয়াতে ধর্মীয় কোন হেইট নেই, কোরিয়ানরা ন্যায়ভিত্তিক সমাজে বিশ্বাসী, তাছাড়া পরিশ্রমী জাতি। কোরিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশীদেরকে কোরিয়ান আইন মেনে চলার জন্য অনুরোধ জানাই।

একুশে পত্রিকা : দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসীদের একটি দাবী কেউ মৃত্যুবরণ করলে যেন সরকারি খরচে লাশ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা, এ ব্যাপারে দূতাবাস কোনো উদ্যোগ নেবে কিনা?

আবিদা ইসলাম : লাশ পাঠানোর সময় দূতাবাস সার্বিক সহযোগিতা করে থাক। কিন্তু আমাদের ফান্ড পর্যাপ্ত নয়, ফান্ড বৃদ্ধির জন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অতীতে কোরিয়ায় বাংলাদেশ কমিউনিটির উদ্যোগে ও দূতাবাসের মাধ্যমে লাশ প্রেরণ করা হয়েছিল। ভবিষ্যতেও দূতাবাস প্রবাসীদের সার্বিক বিষয়ে পাশে থাকবে।

একুশে পত্রিকা : দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিশ্বে বসবাসরত বাংলাদেশিদের অন্যতম দাবী, একটা দিন যেন প্রবাসী দিবস পালন করা হয়; এ নিয়ে কোনো প্রস্তাব সরকারের কাছে রাখবেন কিনা?

আবিদা ইসলাম : দক্ষিণ কোরিয়ার প্রবাসী ছাড়াও গোটা পৃথিবী জুড়ে অনেক বাংলাদেশী আছে। সকলে মিলে এজেন্ডা ঠিক করতে পারলে দূতাবাসের মাধ্যমে আমরা সরকারের কাছে প্রস্তাব রাখতে পারি। তবে এক্ষেত্রে প্রবাসী দিবস কী জন্য পালন করা হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিতে হবে। সচরাচর দিবস পালনে কোনো লাভ হবে না।

একুশে পত্রিকা : কোরিয়ায় এসেছেন প্রায় চারমাস। এ সময়ে আপনার কূটনীতিক অর্জন কী?

আবিদা ইসলাম : কোরিয়া আসার পর থেকে ব্যস্ত সময় পার করছি, কিছুদিন পূর্বে প্রেসিডেন্ট মুনযে ইনের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছি, পরিচয়পত্র পেশের পর থেকে বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণ করেছি। কোরিয়ান বিনিয়োগকারীদের সাথে কিছুদিন আগে একটি পূর্বে মতবিনিময় সভায় মিলিত হই। এগুলো অর্জনের মধ্য পড়ে কিনা বুঝতে পারছি না। তিন মাসে তেমন কিছু করতে পারিনি, ভবিষ্যতে আশা রাখছি।

একুশে পত্রিকা : বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে কোনো সাদৃশ্য চোখে পড়ে?

আবিদা ইসলাম : কোরিয়া বিশ্বের ১১ তম অর্থনীতির দেশ, তারা ধীরে ধীরে নিজেদের অর্থনীতিকে মজবুত করেছে। বর্তমান বিশ্বে তাদের অবস্থান খুবই শক্তিশালী। একই পদ্ধতিতে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশ ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ, ২০৪১ উন্নত দেশে পরিণত হবে, যে ভিশনে কোরিয়া এগিয়েছে। মনে হয় এটি একটি বড় সাদৃশ্য। তাছাড়া গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও পারিবারিক মূল্যবোধ অভিন্ন।

রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম সুরের মানুষ, গানের সমঝদার। নিজে তেমন গান না করলেও গান শুনতে পছন্দ করেন, ভালোবাসেন। দূতাবাসের সব আয়োজনে থাকে গানের আয়োজন। অনুষ্ঠানশেষে প্রবাসী বাঙালিদের সুরে ভাসেন, মাঝে মাঝে নিজেও রবীন্দ্রসংগীতে সুর তোলেন, ঠোঁট মেলান। বাজান হারমোনিয়াম।

কিমছি একটি কোরিয়ান খাবার, খুব মজাদার, সুস্বাদু। সারাবিশ্বে এটি সমাদৃত। এ খাবার বেশ পছন্দ রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলামের। তবে এর চেয়েও রাষ্ট্রদূতের ঢের পছন্দ বুলগোগি। এটি কোরিয়ার আরেকটি প্রসিদ্ধ খাবার।