হাটহাজারী প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে রেললাইনের ওপর ইজারাদাররা অবৈধ পশুরহাট বসিয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিক্রেতারা কোরবানির পশু বিক্রি করছেন। এতে চট্টগ্রাম-নাজিরহাট রেললাইনে চলাচলরত যাত্রীসাধারণ এবং স্থানীয় জনসাধারণ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
স্হানীয়দের অভিযোগ, রেলের জায়গায় বসানো পশুর হাটটি সম্পূর্ণ বে-আআইনী, অবৈধ ও অনুমতিবিহীন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনোপ্রকার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। লাইনের স্লিপারের সঙ্গে পশু বেঁধে রাখায় যে কোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
স্থানীয়দের দাবি, বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটার আগে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এ অবৈধ পশুর হাটের ইজারাদারদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হোক।
ঘুরে দেখা গেছে, হাটহাজারী রেলস্টেশন এলাকায় অবৈধভাবে বসানো পশুর হাটে বিক্রেতারা সিগন্যাল, রেলের স্লিপার বা পয়েন্টের চাবির সঙ্গে বিক্রির জন্য কোরবানির পশু বেঁধে রেখেছেন। আবার অনেকে গরু নিয়ে রেললাইনের উপরেই বসে আছেন। এ অবস্থায় ট্রেন আসার সময় তাদের ছুটোছুটি করতে দেখা গেছে। এরই মধ্যে ক্রেতারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোরবানির পশু কেনার চেষ্টা করছেন।
পশু বিক্রেতারা বলছেন, বাজারের কোথাও জায়গা না থাকায় ইজারাদারের কথামত রেললাইনের ওপর আমরা গরু বিক্রি করছি, তবে ট্রেন আসার শব্দ শুনলে সরে যাবো।’
ক্রেতাদের অভিযোগ, ‘বাজারের ভেতরে জায়গা থাকলেও রেললাইনের উপর বাজার বসানো হয়েছে এবং ভালো গরুগুলো ঝুঁকিপূর্ণ স্থানেই (রেললাইনের উপর) রাখা হয়েছে। যার কারণে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই রেললাইনের ওপরে কোরবানির পশু কিনতে এসেছি।
এ বিষয়ে হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাসুম জানান, মহাসড়ক বা রেললাইনের ওপর কোরবানির পশুর হাট বসানো সম্পূর্ণ বেআইনী। এভাবে পশুর হাট বসানোর কোনো সুযোগ নাই। এসব অবৈধ পশুর হাটের ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হাটহজারী রেলস্টেশন মাস্টার মাজহার সাংবাদিকদের জানান, ‘রেললাইনের উপর কোরবানির পশুর হাট বসানোর কোনো অনুমতিই দেয়া হয়নি।’
হাটহজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ বেলাল উদ্দীন জাহাঙ্গীর জানান, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
একুশে/এসএইচ/এটি