চট্টগ্রামের ২০ বেসরকারি হাসপাতালের তথ্য চায় সার্ভেইল্যান্স টিম


চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে নাগরিকদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে গঠিত সার্ভেইল্যান্স কমিটির কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

চিকিৎসার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও হাসপাতাল থেকে রোগী ফেরানোর অভিযোগের মধ্যে চট্টগ্রামের ২০টি বেসরকারি হাসপাতালের সেবার তথ্য তলব করেছে কমিটি।

তথ্য চাওয়া হাসপাতালগুলোর মধ্যে রয়েছে জিইসি মোড়ের চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল সেন্টার, ওআর নিজাম রোডের রয়েল হাসপাতাল, এশিয়ান হাসপাতাল, পাঁচলাইশের সার্জিস্কোপ হাসপাতাল, সিএসটিসি, পার্কভিউ হাসপাতাল, ডেল্টা হাসপাতাল, শেভরন হাসপাতাল, মেহেদীবাগের ম্যাক্স হাসপাতাল, ন্যাশনাল হাসপাতাল।

এছাড়া আগ্রাবাদের মা ও শিশু হাসপাতাল, খুলশীর ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল, ইউএসটিসি, গোলপাহাডের সিএসসিআর, মেরিন সিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, সাউদার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বিজিসি ট্রাস্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালও রয়েছে উক্ত তালিকায়।

তাদের কাছে দৈনিক কত রোগীকে সেবা দেওয়া হচ্ছে, সেবা নিতে কত রোগী দৈনিক আসেন, তাদের মধ্যে কতজন সাধারণ ও কতজনের করোনা উপসর্গ আছে, কতজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, কাউকে সেবা না দিয়ে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছি কি না, দিলে তার কারণ এবং হাসপাতালে মোট শয্যা সংখ্যা- এসব তথ্য চাওয়া হয়েছে।

এদিকে সার্ভেইল্যান্স টিম থেকে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরীকে বাদ দিয়ে সংগঠনটির সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খানকে রাখা হয়েছে।

এর আগে করোনা আক্রান্তসহ সব ধরনের রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে গত ৩১ মে ৭ সদস্যের একটি সার্ভিল্যান্স কমিটি গঠন করে দেন বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ।

এতে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. মিজানুর রহমানকে আহ্বায়ক করা হয়। আর সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বিকে সদস্য সচিব পদে রাখা হয়।

সার্ভিল্যান্স টিমের আহ্বায়ক ও চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. মিজানুর রহমান বলেন, চিকিৎসাবঞ্চিত হয়ে মানুষ যাতে মারা না যায় সেজন্য আমরা কঠোর অবস্থান নিয়েছি। ইতিমধ্যে সেবার তথ্য দেয়ে ২০টি হাসপাতালকে চিঠি দিয়েছি। তারা তথ্য পাঠাতে শুরু করেছেন। এসব তথ্যের ভিত্তিতে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।

তিনি বলেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে। এসব সমস্যার কথা জানলে আমরা সমাধানের পথ বের করতে পারবো। এখন দেখা যাচ্ছে, চিকিৎসা না পেয়ে মানুষ মারা যাচ্ছে। অন্যদিকে চিকিৎসকরা ঘরে বসে আছেন। এসব তো মেনে নেয়া যায় না।