শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বরখাস্ত হলেন ডা. সাবরিনা, আত্মপক্ষ সমর্থনে যা বললেন

প্রকাশিতঃ ১২ জুলাই ২০২০ | ৯:০১ অপরাহ্ন


ঢাকা : জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সরকারী চাকরি করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকা এবং অর্থ আত্মসাতের মতো শাস্তিযোগ্য অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ কথা জানানো হয়েছে।

আজ রোববার (১২ জুলাই) অফিস আদেশে বলা হয়েছে, যেহেতু জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার সাবরিনা শারমিন হুসাইন সরকারি চাকরিতে কর্মরত অবস্থায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেকেজির চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট প্রদান ও অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন বিধায় আজ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।

যেহেতু সরকারি কর্মকর্তা হয়ে সরকারের অনুমতি ছাড়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান থাকা এবং অর্থ আত্মসাত ২০১৮ সালের সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ, সেহেতু ডা. সাবরিনাকে বিধি অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। তিনি সাময়িক বরখাস্তকালীন বিধি মোতাবেক খোরপোষ ভাতাপ্রাপ্ত হবেন।

প্রসঙ্গত সাবরিনাকে আজ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার হারুন অর রশিদ আজ রোববার সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আদালতে আগামীকাল সোমবার সাবরিনাকে আদালতে নেওয়া হবে। পুলিশ রিমান্ড আবেদন করবে। জিজ্ঞাসাবাদের পর এই ঘটনায় আর কে কে জড়িত রয়েছেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানা সম্ভব হবে।

এদিকে জেকেজি হেলথ কেয়ারের দুর্নীতির খবর ফাঁসের পর স্বামীর এই সংস্থার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছিলেন ডা. সাবরিনা আরিফ; গ্রেপ্তারের ঠিক আগে তিনি দাবি করলেন, জেকেজির অনিয়মের খবর তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানিয়েছিলেন।

রোববার দুপুরে ডা. সাবরিনা সাংবাদিকদের বলেন, জেকেজির সঙ্গে যে আমি নেই, সেটা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে জানিয়েছিলাম। এ বিষয়ে আমার কাছে প্রমাণও রয়েছে। আমি ডিজি স্যারকে জানিয়েছিলাম যে আমি এটার সঙ্গে নেই। আমি স্বেচ্ছাশ্রমটুকুই সেখানে দিতাম। ওইটুকুও দিব না।

তিনি বলেন, সেখানে অনৈতিক কোনোকিছু হচ্ছে, সেটা আমি জানতাম না। এটার (জেকেজি) কার্যক্রমগুলো সে সিস্টেমিক ওয়েতে যাওয়ার কথা সেভাবে হচ্ছিল না। এটা আমি সবাইকে জানিয়েছি যে এটার ব্যবস্থাপনায় আমি নেই।

এই সবাইকে বলতে তিনি কাদের বুঝিয়েছেন, তা স্পষ্ট করেননি তিনি।