শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভয়াবহ বন্যায় চীনে ১৪১ জনের মৃত্যু, বাঁধের ওপর নির্ঘুম রাত লাখো মানুষের

প্রকাশিতঃ ১৩ জুলাই ২০২০ | ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দুর্যোগ যেন পিছু ছাড়ছেই না চীনের। করোনা মাহমারির ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতে এবার ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে দেশটি। বিবিসি সূত্রে জানা গেছে, ৭০ বছরে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় ডুবে গেছে দেশটির মধ্য ও দক্ষিণভাগের বেশ কিছু এলাকা। ঘুরে ফিরে দূর্ভাগ্যের শিকার করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল সেই হুবেই প্রদেশ যা মধ্য চীনে অবস্থিত।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভারী বর্ষণে এই প্রদেশ ছুয়ে যাওয়া ইয়াংজি নদী প্লাবিত হয়ে ভেসে গেছে আশপাশের এলাকাসহ দেশটির দক্ষিণাঞ্চল। ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মাত্রার বন্যা সতর্কতা জারি করেছে সরকার। রবিবার বিকেল পর্যন্ত জিয়াংশি, আনহুই এবং হুবেই সহ ২৭টি প্রাদেশিক অঞ্চলে বন্যায় ১৪১ জন নিহত বা নিখোঁজ হয়েছে,যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, গেল কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে হুবেই, জিয়াংজি এবং ঝেঝিয়াং প্রদেশের হাজার হাজার ঘরবাড়ি পানিতে তলিতে গেছে। উঁচু বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছে লাখ লাখ মানুষ। তবে আরো আশঙ্কার বিষয় হল, পানির চাপে বাঁধগুলোতেও ফাটল দেখা দিয়েছে। তাই সেগুলো ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় পালা করে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে অধিবাসীরা।

চীনের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জুলাইয়ের প্রথমদিক থেকে ২১২টি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে, এরমধ্যে ১৯টি নদীর পানি স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উচ্চতা অতিক্রম করেছে। পরিস্থিতি সবচেয়ে নাজুক ইয়াংসির নদীর অববাহিকায় বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।

রবিবার (১২ জুলাই) চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছর সেদেশে বন্যাজনিত কারণে মারা যাওয়া বা নিখোঁজ হওয়া মানুষের সংখ্যা ১৪১। বন্যায় ৩৫.৩ লাখ হেক্টর কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিতে ভেসে গেছে ২৮ হাজার ঘরবাড়ি। অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৮,২২৩ কোটি ইউয়ান।