রাকীব হামীদ, জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম থেকেঃ ঘড়ির কাঁটায় বিকেলে ৪টা। জহুর আহমেদ চৌধুরীর স্টেডিয়ামের মাঠে চলছে তখন জিম্বাবুয়ে দলের উইকেট পতন। আর মাঠের বাহিরে চার নম্বর গেটে ইস্টার্ণ গ্যালারিতে প্রবেশে দর্শকদের দীর্ঘ সারি। চারটি সারিতে থাকা এদের অনেকেই গেটের সামনে এসে কিনছেন টিকেট। কাউন্টার না থাকলেও দেদারসে প্রকাশ্যে এসব টিকেট বিক্রি করছেন খোদ বিসিবির টিকেট কালেক্টরাই।
৩০০ টাকায় ছেঁড়া টিকেটেই চট্টগ্রামে বাংলাদেশ দলের খেলা দেখার এই সুবর্ণ সুযোগ করে দিচ্ছেন তারা। আশে পাশে আইন-শৃঙ্গলা বাহিনীর সদস্যেদের এসবে নজরদারী নেই। বরং আয়েশী ভঙ্গিতে খোশ গল্পে বুঁদ তারা।
সরেজমিনে, অবৈধভাবে টিকেট বিক্রির এমন অনিয়মের দৃশ্য ধরা পড়ে একুশে পত্রিকার এই প্রতিবেদকের চোখে। চার নম্বর গেটের দক্ষিণ পাশেই কথা হয় ১২ বছর বয়সী রিদোয়ান হাসানের সাথে।
বাংলাদেশ দলের খেলা পাগল এই ক্ষুদে ভক্ত এসেছেন নগরীর দামপাড়া থেকে। দুই ঘন্টা ধরে ঘোরাফেরা করেও টিকেট জোগাড় করতে পারেন নি৷ এসময় তার সামনেই জটলা বেঁধে টিকেট বিক্রি করতে দেখেন কালো টি-শার্ট ও বিসিবির লোগো সম্বলিত ‘টিকেটিং ও সিটিং’ লেখা কোটি পড়া এক তরুণের সাথে। আগ্রহ নিয়ে কথা রিদোয়ান সে তরুণের কাছে গ্যালারিতে প্রবেশের আকুতি জানায়। এসময় ওই তরুণ টিকেট আছে জানিয়ে ৩০০ টাকা দাবি করে। পরে ৩০০ টাকায় ছেঁড়া টিকেট কিনে প্রবেশের সম্য বিপত্তিতে পড়ে দামপাড়া থেকে আসা সে কিশোর। এসময় বিসিবির ওই টিকেট কালেক্টর দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
এর আগে ছেঁড়া টিকেট বিক্রি করা বিসিবির ওই টিকেট কালেক্টরের সাথে ক্রেতা সেজে কথা হয় একুশে পত্রিকার এই প্রতিবেদকের। টিকেট প্রতি ৪০০ টাকা লাগবে বলে জানায় সে। এসময় তার কাছে কয়টি টিকেট আছে জানতে চাইলে বলে,‘যত লাগবে তত আছে। টাকা দেন। টিকেট নেন’। তবে বারবার চেষ্টা করেও তার নাম জানা সম্ভব হয় নি।
এদিকে হিরো নামে আরেকজন টিকেট কালেক্টরকেও ৩০০ টাকায় টিকেট বিক্রি করতে দেখা যায়। তিনি জানান, বন্ধুদের জন্যে কাউন্টার থেকে টিকেট কিনেছিলাম। বন্ধুরা না আসায় এখন টিকেট গুলো বিক্রি করে দিচ্ছি।
এদিকে স্টেডিয়ামের প্রবেশ মুখেই কালোবাজারে টিকেট বিক্রির বিষয়ে দায়িত্বরত পুলিশ ও বিসিবি কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাওয়া হলেও তারা কোন মন্তব্য করতে রাজি হন নি।
একুশে পত্রিকা/আরএইচ