শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

‘নিখুঁত সাধনা ছাড়া আবৃত্তিশিল্পে স্থায়ী হওয়া যায় না’

প্রকাশিতঃ ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ | ১:২০ অপরাহ্ন

চট্টগ্রাম : খ্যাতিমান আবৃত্তিশিল্পী ও গবেষক ডালিয়া বসু সাহা বলেছেন, আবৃত্তি গতানুগতিক কোনো শিল্প নয়, নিখুঁত সাধনা ছাড়া এ শিল্পে স্থায়ী হওয়া যাবে না। এখানে কোন ফাঁকিবাজির জায়গা নেই। যে কোনো শিল্পে স্থায়ীত্বের জন্য সাধনা হতে হবে প্রার্থনার মতো। প্রতিনিয়ত চর্চায় থাকতে হবে শিল্পের, পরচর্চায় সময় বয়ে দিয়ে শিল্পের কোনো লাভ তো হবেই না, বরঞ্চ নিজেকে পিছিয়ে থাকতে হবে।

চট্টগ্রামের আবৃত্তিশিল্পীদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘আমি শুনেছি তারা খুব কমিটেড, বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রশ্নে আপোসহীন। দেশের যে কোনো ক্রান্তিলগ্নে তারা ভূমিকা পালন করেন এবং রাজনীতি সচেতনও। তাঁদের এই বীরত্বের কথা বাংলাদেশ ছাপিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে গেছে। আমি তাদের স্যালুট জানাই।’
দীর্ঘ আলাপচারিতায় ডালিয়া নিজের কথা, আবৃত্তির কথা, তাঁর দেশের কথাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার ঝাঁপি খোলেন এবং আবৃত্তিতে আড্ডারুদের বিমোহিত করেন।
বাচিকচর্চা কেন্দ্র শৈশব, চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক খ্যাতিমান আবৃত্তিশিল্পী অ্যাডভোকেট মিলি চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন কণ্ঠশীলন’র প্রাক্তন শিক্ষার্থী লেখক-সাংবাদিক শওকত বাঙালি।

রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শৈশবের উদ্যোগে এবং ‘আমরা করবো জয়’-এর সহযোগিতায় দৃষ্টি চট্টগ্রাম কার্যালয়ে আবৃত্তি-আড্ডায় অন্যদের মধ্যে অংশ নেন দৃষ্টি চট্টগ্রাম সভাপতি মাসুদ বকুল, বোধনের প্রণব চৌধুরী, তৈয়বা জহির আরশি, সন্দ্বীপন দাশ একা, মৃত্তিকা দাশ, তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের সাধারণ সম্পাদক মো. মুজাহিদুল ইসলাম, সদস্য সাইদুর রহমান, নোটন কান্তি বিশ্বাস, একুশ মানবিকতা ও আবৃত্তিচর্চা কেন্দ্রের অনির্বাণ চৌধুরী, রবীন শীল, জয় চন্দ্র বিশ্বাস প্রমুখ। অংশগ্রহণকারীরাও ডালিয়া বসুর সম্মানে আবৃত্তি পরিবেশন করেন।

বাংলাদেশের প্রতি বিশেষ করে চট্টগ্রামের প্রতি তাঁর দুর্বলতার কথা উল্লেখ করে ডালিয়া বসু বলেন, আমার ভাবনায় একটা কবিতার আবৃত্তি নির্মাণ করতে হয় প্রথমতঃ নিজের মধ্যে তারপর মানুষের মাঝে। এক একটি কবিতা এক একটি মানুষের মতো-তার আলাদা চরিত্র, আলাদা চলা, আলাদা বক্তব্য। কবিতার সাথে বাস করতে হয়, যাপন করতে হয় দিন রাত্রি, সখ্যতা গড়ে তুলতে হয়। তারপর সে নিজের হয়ে যায়। সেই আমার কবিতা আমার ভাবনার, বোধ, মননের রঙে মিশিয়ে যদি পরিবেশন করা হয় তখনই তার অন্তর্নিহিত ছবি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে-স্পর্শ করে মানুষকে।

সূচনা বক্তব্যে শওকত বাঙালি বলেন, ডালিয়া বসু সাহা আবৃত্তিশিল্পের একজন সাধক। নিয়মিত সাধনার মধ্য দিয়ে তিনি আবৃত্তি শিল্পকে একটি বিশেষ মাত্রায় নিয়ে গেছেন। তিনি শুধু আবৃত্তির জন্যই আবৃত্তি করেন না, এ শিল্পকে সুনিপুণভাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করছেন। সে সংগ্রামে তিনি অবশ্যই সফল হবেন।

একুশে/প্রেসবিজ্ঞপ্তি/এটি