চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের আসন বরাদ্দ দেয়ার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রীদের উপর চড়াও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ এয়াকুব ও মরিয়ম ইসলাম লিজার বিরুদ্ধে।
রোববার সকাল থেকে ছাত্রীরা আন্দোলন করছিল হলের সামনে। দুপুর দেড়টায় সহকারী প্রক্টর মরিয়ম ইসলাম লিজা ও এয়াকুব তাদের উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। এ সময় ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে হলের মেয়েদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে আবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবে টাকা দিয়ে আসলেও আমরা বছরের পর বছর হলে সিট বরাদ্দ পাচ্ছিনা। এ বিষয়ে বারবার আমাদের হল প্রশাসন আশস্ত করেছে। কিন্তু হল বরাদ্দ দেয়নি। আমরা তাই নিরুপায় হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা হলের সিট বরাদ্দের দাবিতে হলের সামনে অবস্থান নিয়েছিলাম। সহকারী প্রক্টররা আমাদের দাবি মানার বিষয়ে কথা না বলে আমাদের উপর চড়াও হয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।
এসময় দুইটি দাবি জানায় ছাত্রীরা। দাবি দুইটি হল, ১৪ অক্টোবরেই ভাইভার ফল প্রকাশ করতে হবে ও ২০ অক্টোবরের মধ্যেই যোগ্যদের যেন নোটিশ দেওয়া হয়।
এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থী আশরাফী নিতু বলেন, যতদ্রুত সম্ভব ছাত্রীদের হলে তুলতে হবে। শিক্ষার্থীদের নিজ হলে তুলে দেওয়ার বিপরীতে নিরাপত্তার কথা বলে প্রশাসন টালবাহানা করছে৷
নিশাত নাওয়ার রাফা বলেন, দুই দিনের মধ্যে এই কার্যক্রম শেষ করতে হবে। আমরা বারবার আন্দোলন করছি, প্রশাসন আমাদের আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু কোন কাজ হয় না।
ছাত্রীদের উপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের চড়াও হওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর রেজাউল করিম বলেন, ভাইভা নেওয়া হয়েছে। তাদের তালিকা অনেকটাই প্রস্তুত হয়ে গেছে। আর হলটিতে এখনও কন্সট্রাকশানের কাজ চলায় তাদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই আমাদের একটু দেরি করতে হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সিটে ওঠার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা হলের সংযুক্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দীর্ঘদিনের। প্রাক্তন উপাচার্যের সময়ও আন্দোলন করে আসছিল তারা৷ পরে প্রক্টর পরিবর্তন হওয়ার পর তাদের ভাইভা নেওয়া হয়। ১৬ ও ১৭ সেপ্টেম্বর এই ভাইভা নেওয়া হয়। ফল প্রকাশের জন্য এক মাসের সময়ও দেওয়া হয় বলে দাবি প্রশাসনের। তবে শিক্ষার্থীরা বলছে দশ দিনের সময় দেওয়া হয়েছিল।