আন্তর্জাতিক : কাশ্মীরের বান্দিপোরা জেলায় ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকধারীদের গোলাগুলির ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কিছু অস্ত্র ও গোলাবারুদ। নিরাপত্তা বাহিনী বলছে, বন্দুকযুদ্ধে নিহত দুই অস্ত্রধারী সশস্ত্র জঙ্গি সংগঠনের সদস্য।
কাশ্মীর পুলিশ এক টুইট বার্তায় জানায়, বন্দুকযুদ্ধে দুজন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের পরিচয় ও তারা কিসের (জঙ্গি সংগঠন) সঙ্গে জড়িত তা সনাক্তের চেষ্টা চলছে।’ এর আগে রোববার রাতে তারা বন্দুকযুদ্ধ শুরু হওয়ার খবর টুইটে জানায়।
এরপর সোমবার সন্ধ্যার পর কাশ্মীর পুলিশ বন্দুকযুদ্ধ নিয়ে তৃতীয় আরেকটি টুইট করে জানায়, যে দুজন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে তাদের একজনে পরিচয় জানা গেছে। সে পাকিস্তানি। তার নাম তালহা। জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার কমান্ডারের খোঁজেই এ অভিযান।’
সম্প্রতি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর উপত্যকায় (ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল কাশ্মীর) বেশ কয়েকবার গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। কাশ্মীর পুলিশ দাবি করেছে, পাকিস্তানের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীরা এসব হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। এ লক্ষ্যে অভিযানা চালাচ্ছে তারা।
সবচেয়ে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে গত ২৮ অক্টোবর। সেদিনের হামলায় একজন নিহত ছাড়াও আরও প্রায় ২০ জন আহত হয় বলে জানায় দেশটির গণমাধ্যমগুলো। তার দুদিন আগে শ্রীনগরে এক ভারতের আধা সামরিক বাহিনী সিআরপিএফের ওপর গ্রেনেড হামলায় ৬ জন আহত হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ অক্টোবর ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে আনুষ্ঠানিকভাবে দিখণ্ডিত করা হয়। এখন কাশ্মীর ভারতের কোনো রাজ্য নয়, কেন্দ্রশাসিত একটি অঞ্চল। এর আগে ৫ আগস্ট কাশ্মীরকে দিখণ্ডিত করার আইন পাস হয় দেশটির পার্লামেন্টে। এরপর থেকেই উপত্যকাটির মানুষ অবরুদ্ধ।
একুশে/এএ