শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

প্রাথমিক-ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা শুরু রোববার

প্রকাশিতঃ ১৫ নভেম্বর ২০১৯ | ৯:০৬ অপরাহ্ন

ঢাকা : প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামী রোববার (১৭ নভেম্বর)। গত বছরের তুলনায় এবার দুটি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী এক লাখ ৯২ হাজার ৬৩২ জন কমেছে। এবার মোট পরীক্ষার্থী ২৯ লাখ ৩ হাজার ৬৩৮ জন। গত বছর পরীক্ষার্থী ছিল ৩০ লাখ ৯৬ হাজার ২৭০ জন।

প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন দুটি পরীক্ষার বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন।

জাকির হোসেন বলেন, আগামী ১৭ নভেম্বর থেকে সারাদেশে শুরু হচ্ছে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা। পরীক্ষা চলবে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত। এ বছর প্রাথমিক সমাপনীতে ২৫ লাখ ৫৩ হাজার ২৬৭ জন ও ইবতেদায়ী সমাপনীতে ৩ লাখ ৫০ হাজার ৩৭১ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশ নেবে।

পরীক্ষা প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয়ে দুপুর ১টায় শেষ হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে। মোট ৬টি বিষয়ের প্রতিটিতে ১০০ করে মোট ৬০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ছাত্র ১১ লাখ ৮১ হাজার ৩০০ জন ও ছাত্রী সংখ্যা ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৯৬৭ জন। গত বছরের তুলনায় এ সংখ্যা ২ লাখ ২৩ হাজার ৬১৫ জন কমেছে। ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় এক লাখ ৮৭ হাজার ৮২ জন ছাত্র এবং এক লাখ ৬৩ হাজার ২৮৯ জন ছাত্রী অংশ নিচ্ছে। এ পরীক্ষায় গতবারের তুলনায় ৩০ হাজার ৯৮৩ জন পরীক্ষার্থী বেড়েছে।

সারাদেশে সর্বমোট ৭ হাজার ৪৭০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এরমধ্যে দেশের অভ্যন্তরে রয়েছে ৭ হাজার ৪৫৮টি এবং দেশের বাইরে ৮টি দেশে ১২টি কেন্দ্র (সৌদি আরবে ৪, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২, বাহরাইনে ১, ওমানে ১, কুয়েতে ১, লিবিয়ায় ১, গ্রিসে ১, কাতারে ১টি কেন্দ্র) থাকবে। বিদেশে অবস্থিত কেন্দ্রগুলোতে মোট পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৬১৫, এরমধ্যে ছাত্র ২৮৯ জন ও ছাত্রী ৩২৬ জন।

‘সমাপনী পরীক্ষা সুষ্ঠু ও স্বচ্ছতার সাথে সম্পন্নের জন্য ইতোমধ্যে যাবতীয় কর্মকাণ্ড সম্পন্ন হয়েছে। বিশেষ ব্যবস্থা ও নিরাপত্তার সাথে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মুদ্রণ ও বিতরণ কাজ শেষ হয়েছে। প্রশ্নপত্র বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় জেলা বা উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে দেয়া হয়েছে এবং তা সংশ্লিষ্ট থানা/ট্রেজারিতে রাখা হয়েছে। পরীক্ষার দিন সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বজায় রেখে সংশ্লিষ্ট প্রশ্নপত্র উপজেলা থেকে কেন্দ্র সচিবের নিকট পৌঁছে দেয়া হবে। দুর্গম এলাকার ১৮৪টি কেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থায় প্রশ্নপত্র পাঠানো হয়েছে।’

পরীক্ষার দায়িত্ব পালনে ন্যূনতম অবহেলা বা অনিয়মের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ২০০৯ সাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা চালু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার সাথে ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়। ১১তম বারের মতো প্রাথমিক সমপনী ও দশমবারের মতো ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা হচ্ছে।

একুশে/এএ