বাগদাদ: ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মস্তিষ্কে আঘাত (ট্রমাটিক ব্রেন ইনজুরি) পাওয়া ৩৪ সেনাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। হামলায় আহত আরও ১৭ সেনাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পেন্টাগনের এক মুখপাত্র।
আজ শনিবার বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
বাগদাদে জেনারেল কাসেম সোলেইমানি হত্যার প্রতিশোধে গত ৮ জানুয়ারি ইরানের এই হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কোনো মার্কিন সেনা হতাহতের কথা অস্বীকার করেছিলেন।
পরবর্তীতে গত সপ্তাহে পেন্টাগন ১১ সেনা আহত হওয়ার কথা স্বীকার করে জানায়, তাদের মাথার নানা সমস্যার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে ট্রাম্পকে হামলার ঘটনায় হতাহতের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি শুনেছি কারও মাথাব্যথা বা অন্য কিছু সমস্যা হয়েছে। তবে আমি অবশ্যই জোর দিয়ে বলতে পারি তা গুরুতর কিছু নয়।’
সম্ভাব্য ট্রমাটিক ব্রেন ইনজুরি (টিবিআই) প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি অন্যান্য যেসব আহত হওয়ার ঘটনা জানি, সে তুলনায় এগুলো মারাত্মক কিছু নয়।’
পেন্টাগন জানিয়েছে, ইরাকের আইন আল-আসাদ ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সময় সব সেনা বাঙ্কারে ছিলেন বলে কারও কোনো ক্ষতি হয়নি।
গত শুক্রবার প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র জোনাথন হফম্যান বলেছেন, আহত ৮ সেনাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ৯ জনকে জার্মানিতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ১৬ জনকে ইরাকে ও একজনকে কুয়েতে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তারা আবার সেনাবাহিনীতে যুক্ত হয়েছেন।
হামলার ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে আহত লোকজন সম্পর্কে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার জানতেন না।
ইরাক অ্যান্ড আফগানিস্তান ভেটেরান্স অব আমেরিকা নামে একটি অলাভজনক সংস্থা হতাহতের মাত্রা প্রকাশে দীর্ঘ সময় নেওয়ার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের নিন্দা জানিয়েছে।
ওই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা পল রিকফ বলেন, এটা অনেক বড় কিছু। মার্কিন নাগরিকদের অবশ্যই তথ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে সরকারকে বিশ্বাস করতে হবে। যুদ্ধে ট্রমাটিক ব্রেন ইনজুরির ঘটনা প্রায়ই ঘটে।
গতকাল শুক্রবার ইরাকের হাজার হাজার মানুষ দেশটিতে ৫ হাজার বিদেশি সেনার উপস্থিতি নিয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ দেখিয়েছে।
ইরাকের পার্লামেন্ট যুক্তরাষ্ট্রসহ সব বিদেশি যোদ্ধাকে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।