ফাইল ছবি
ঢাকা : দেশে কয়েকজন চিকিৎসক ও সেবাদানকারী নার্স আক্রান্ত ও বেশ কিছু সংখ্যককে কোয়ারেনটাইনে পাঠানোর পর চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য সেবাদানকারীদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন নার্স জানান, হাসপাতাল থেকে তাদের মাস্ক ও গ্লাভস দেয়া হলেও কোন নিরাপত্তা পোশাক দেয়া হয়নি। সেখানে এখন সর্দি-কাশি নিয়ে আসা রোগীদের ভর্তি নেয়া হচ্ছে না।
এ অবস্থায় চিকিৎসক নার্স ও স্বাস্থ্য সেবাদানকারীদের উপযুক্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা না হলে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত পারে এবং তাতে পরিস্থিতি আরো নাজুক হয়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মহল।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের সাবেক উপদেষ্টা প্রফেসর ডাক্তার মোজাম্মেল হক বলেছেন, করোনা যুদ্ধে যারা ফ্রন্ট লাইনের সৈনিক সেই চিকিৎসক, নার্স ও সেবা কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি। সেটা না করা গেলে পরিস্থিতির ভয়াবহতা মোকাবেলা কঠিন হয়ে পড়বে।
বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) নারায়ণগঞ্জ জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার দেবাশীষ সাহা জানিয়েছেন, সবার আগে চিকিৎসকদের সুরক্ষা প্রয়োজন। সরকারীভাবে এখনো পর্যাপ্ত সংখ্যক পিপিই (পারসোনাল প্রটেকশন ইক্যুইপমেন্ট) সরবরাহ না করায় জেলা সদর ও জেলার সবকটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিএমএ’র উদ্যোগে আড়াইশ’ পিপিই বিতরণ করা হয়েছে। তিনি সমাজের বিত্তবানদেরকেও এ সংকটের সময় চিকিৎসকদের পাশে এসে দাঁড়াবার আহ্বান জানান।
এদিকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া কোভিড-১৯ বা নভেল করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ২৭ হাজার এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৫.৫ লাখ ছাড়িয়ে যাবার প্রেক্ষাপটে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গতরাতে জানিয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রতি দশ জনের একজন হচ্ছেন চিকিৎসক।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাডানম গ্যাব্রিয়াসাস গতরাতে জেনেভাস্থ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, এ মুহূর্তে মানুষের প্রাণ বাঁচাতে যে জিনিষটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, তা হলো পিপিই।
সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন এমন ৭৪টি দেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যে পিপিই পাঠিয়েছে। আরও ৬০টি দেশে পিপিই পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু আরও বেশী পিপিই প্রয়োজন। কারণ, ধনী দেশগুলোর মতো নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশের স্বাস্থ্যকর্মীরা সুরক্ষার দাবিদার।