চট্টগ্রাম : চলমান করোনা-ঝুঁকি এড়ানোর লক্ষ্যে মসজিদে ৫ ওয়াক্ত নামাজ জামায়াতে পড়লে ইমাম, মুয়াজ্জিনসহ ৫ জন এবং জুমার নামাজে ১০ জনের বেশি সমবেত হওয়া যাবে না – ধর্ম মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এই নির্দেশনা অমান্য করে শতাধিক মুসল্লি নিয়ে আছরের নামাজ পড়ানো হয় খুলশী জালালাবাদ হাউজিং মসজিদে।
সামাজিক, শারীরিক দূরত্ব মেনে চলার নিয়ম এবং সরকারি বিধিনিষেধ- কিছুরই তোয়াক্কা না করে বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) আছর নামাজ শেষে মুসল্লিরা দলে দলে বের হচ্ছিলেন।
এ সময় সেখানে গিয়ে আচমকা হাজির হন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম। তিনি মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সোলায়মান এফসিএকে তলব করে ভবিষ্যতের জন্য তাকে হুঁশিয়ার করেন। একই সাথে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ ফরহাদকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে পরিস্থিতি শিথিল না হওয়া পর্যন্ত মসজিদে মুসল্লি জনসমাগমে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
জানা যায়, মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে দুঃখ প্রকাশ করে আগামিতে এ ধরনের গণজমায়েত করে নামাজের আয়োজন হবে না মর্মে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অঙ্গীকার করা হয়।
এ প্রসঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম একুশে পত্রিকাকে বলেন, করোনা মোকাবিলায় যেখানে নাস্তানাবুদ পুরো বিশ্ব, ইসলামের তীর্থস্থান মক্কা-মদিনায়ও যেখানে মুসল্লি সমাগম বন্ধ করা হয়েছে, ক্রমাবনতিশীল পরিস্থিতিতে ধর্ম মন্ত্রণালয় আলেম-ওলামারাও যেখানে মসজিদের পরিবর্তে ঘরে বসেই ইবাদত-বন্দেগী করতে বলেছেন, সেখানে শতাধিক লোক জড়ো করে জামায়াতে নামাজ পড়া মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সবার স্বার্থে মসজিদ কর্তৃপক্ষকে আমি সতর্ক করেছি। কোনোভাবেই ঝুঁকিপূর্ণ সমাগম আমরা এ মুহূর্তে অ্যালাউ করবো না। – বলেন ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল।