বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এসএসসি: বাঁশখালীতে প্রথম নাপোড়া-শেখেরখীল উচ্চ বিদ্যালয়

প্রকাশিতঃ ৩১ মে ২০২০ | ১০:৪৩ অপরাহ্ন


মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) : বাঁশখালীতে এবার এসএসসির ফলাফলে প্রথম হয়েছে নাপোড়া শেখেরখীল উচ্চ বিদ্যালয়। এ বছর বিদ্যালয়টির ১৭৭ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে পাস করেছেন ১৭০ জন। তার মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫ জন। সবমিলিয়ে স্কুলটির পাশের হার ৯৬ দশমিক ৫ শতাংশ। অন্যদিকে এবার এসএসসিতে পুরো বাঁশখালী উপজেলার পাসের হার ৭৮ দশমিক ১৭ শতাংশ।

উপজেলার পুঁইছড়ি ও শেখেরখীল ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী স্থানে ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর গত ৫৭ বছরের মধ্যে এই প্রথম এত বড় সাফল্য পেল নাপোড়া শেখেরখীল উচ্চ বিদ্যালয়।

এ বিষয়ে নাপোড়া-শেখেরখীল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম একুশে পত্রিকাকে বলেন, আল্লাহর কাছে লাখো কোটি শুকরিয়া। আমার স্কুলের সভাপতি আজিজুর রহমান সাহেবের তত্ত্বাবধান, শিক্ষকদের প্রচেষ্টা, এলাকাবাসীর সহযোগিতা ও শিক্ষার্থীদের পরিশ্রমে এত বড় অর্জন এসেছে।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও স্মার্ট গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক শিল্পপতি আজিজুর রহমান বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা মানসিক বিপর্যয়ে পড়েছিল। তা না হলে ফলাফল আরও ভালো করতো। তারপরও এই অর্জন শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের।

অপরদিকে বাঁশখালীর অন্যান্য মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বেশিরভাগ স্কুল তুলনামূলকভাবে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করেছে। যদিও কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী স্কুলের ফলাফল খারাপ হয়েছে।

হাজীগাঁও-বরুমছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৯২ দশমিক ৬৩ শতাংশ। মোট ৯৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৮৮ জন। জিপিএ- ৫ পেয়েছে ৩ জন। পুঁইছড়ি ইজ্জতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৯২ দশমিক ৪২ শতাংশ। মোট ১৩২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১২২ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন।

বাঁশখালী বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয় পাসের হার ৯১ দশমিক ৬৩ শতাংশ। মোট ২৫১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২৩০জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ জন। বাঁশখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৮৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। মোট ২৮৮ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২৫৯জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০জন।

মোনায়েম শাহ আউলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৮৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ। মোট ৪৩জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৩৮জন। জিপিএ-৫ পায়নি কেউ। বিবি চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের হার ৮৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ। মোট ৬৬জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ ৫৮জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। কালীপুর এজহারুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৮৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। মোট ৯৬জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৮৪জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। বাঁশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৮৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ। মোট ২৫১জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২১৭ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ জন।

সরল আমিরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের হার ৮৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। মোট ১২৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ ১০৪জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। রায়ছটা-প্রেমাশিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৮১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। মোট ৯৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ ৭৯জন। জিপিএ-৫ পায়নি কেউ। পশ্চিম বাঁশখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের হার ৮১ দশমিক ৪১ শতাংশ। মোট ২৬৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ ২১৯জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন। সাধনপুর পল্লী উন্নয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৮০ দশমিক ১৬ শতাংশ। মোট ১২৬ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ ১০১জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫জন। ছনুয়া কাদেরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের হার ৮০ দশমিক ০০ শতাংশ। মোট ৫৫জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৪৪জন। জিপিএ-৫ পায়নি কেউ।

বৈলছড়ি নজমুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৭৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ। মোট ৩৫৫জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২৮২জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। নাটমুড়া-পুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৭৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ। মোট ২২৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৮০জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ০৯ জন। গন্ডামারা-বড়ঘোনা উচ্চ বিদ্যালয়ের
পাসের হার ৭৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ। মোট ৫৩জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৪১জন। জিপিএ-৫ পায়নি কেউ। চাম্বল উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৭৭ দশমিক ০৬ শতাংশ। মোট ২৭৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ ২১৫জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন।

নাসেরা খাতুন আর কে উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৭৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ। মোট ২৬১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ ১২২জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ০২ জন। খানখানাবাদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৭৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। মোট ১০৩জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৭৮জন। জিপিএ-৫ পায়নি কেউ। বানীগ্রাম সাধনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৭৫ দশমিক ৩২ শতাংশ। মোট ২৩১জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৭৪জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ০৭ জন। কোকদন্ডী-গুনাগরি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৭৪ দশমিক ৩২ শতাংশ। মোট ২২২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৬৫ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন।

বাহারছড়া-রত্নপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৭৪ দশমিক ০৭ শতাংশ। মোট ২৯৭ পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২২০ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ জন। কাথরিয়া-বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৭০ দশমিক ৫৬ শতাংশ। মোট ২৪৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৭৫ জন। জিপিএ- ৫ পেয়েছে ৩ জন। সাধনপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাস ৬৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ। মোট ৬৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ ৪৬ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। কামাল উদ্দিন চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের ৬১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। মোট ৭০ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৪৩জন। এই স্কুলে জিপিএ-৫ পায়নি কেউ।