রিপন চন্দ্র শীল, নোবিপ্রবি : ২৬ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিপরীক্ষা। প্রায় সত্তর হাজার শিক্ষার্থী ছয়টি বিভাগে আবেদন করে। এতো সংখ্যক ভর্তিপরীক্ষার্থীকে আবাসনব্যবস্থা, যাতায়াত-সুবিধা দিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
কিন্তু এই ভর্তি উৎসবকে ভিন্নরুপ দিতে নোয়াখালীবাসী দেখালো আতিথেয়তার অনন্য দৃষ্টান্ত। নোয়াখালীর পৌর মেয়র প্রথমেই ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য থাকা-খাওয়া, যাতায়াত ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করেন।
অপরদিকে, নোয়াখালী ৪ আসনের সাংসদ, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা শিক্ষা অফিসও শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের জন্য তথ্য প্রদান, আবাসন ব্যবস্থা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করেন। এছাড়া নোয়াখালীর বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, নোবিপ্রবি ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের মাঝে ফ্রি সুপেয় পানি বিতরণ ও বিভিন্ন রকম সহযোগিতায় পাশে দাঁড়ান।
যাতায়াত, পরিবহন সংকট ও যানজট নিরসনে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. এস এম. নজরুল ইসলাম রেখেছেন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। নিজে রাস্তায় নেমে যানজট নিরসনে কাজ করেছেন এবং শিক্ষার্থী ও অভিভাবককে করেছেন আশ্বস্ত।
এতে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানা মহলে রীতিমতো প্রশংসায় ভাসছে নোয়াখালীবাসী ও নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
উত্তরবঙ্গের নীলফামারী থেকে আসা এক অভিভাবক বলেন, ‘গভীররাতে নোয়াখালী এসে পৌঁছে ভেবেছিলাম কোনো একটি হোটেলে অবস্থান করবো কিন্তু কোথাও কোনো সিট খালি ছিলো না। তখন হোটেল থেকে বের হয়েই স্থান পাই বড় মসজিদে। আবাসন, আতিথেয়তা সবই যেন মন জয় করে নিলো আমাদের। এসব ব্যবস্থা যেন অন্য সব বিশ্ববিদ্যালয়ে করা হয়, তাহলেই শিক্ষার্থীরা স্বস্তিতে পরীক্ষা দিতে পারবে।
একুশে/জেলা/এটি