চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে চেক প্রতারণার এক মামলায় এক ব্যবসায়ীকে এক বছরের সাজা ও ৮৮ লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও পৃথক দুটি মামলায় আরেক ব্যবসায়ীকে দুই বছর সাজা ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার এসব আদেশ দেওয়া হয় বলে মামলা তিনটির বাদী পক্ষের আইনজীবী এ.এম জিয়া হাবীব আহসান জানিয়েছেন।
দণ্ডিতরা হলেন- মেসার্স ফিস মার্ক এক্সপোর্ট এর মালিক নাজমুল করিম চৌধুরী এবং আবুল কালাম এন্ড ব্রাদার্স এর মালিক মোহাম্মদ আবুল কালাম। দুই আসামি পলাতক আছেন।
মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সিডিএ এভিনিউ শাখা থেকে বিনিয়োগ গ্রহণ করার বিপরীতে ৮৮ লাখ ৩৯ হাজার ২৩ টাকার ১টি চেক ব্যাংককে দেন নাজমুল করিম চৌধুরী।
তিনি চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানাধীন ৪৫২ নং গাজী শাহ লেইনস্থ মৃত আহমদ করিমের ছেলে ও মেসার্স ফিস মার্ক এক্সপোর্ট এর মালিক।
ওই চেক ডিজঅনার হয়ে ফেরত আসলে ২০১৫ সালের ৩০ আগস্ট এনআই এ্যাক্টে নাজমুলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন ব্যাংকের পক্ষে উক্ত শাখার এভিপি মোহাম্মদ ওসমান গণি।
বাদীর আইনজীবী এ.এম জিয়া হাবীব আহসান বলেন, অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হওয়ায় নাজমুলকে এক বছরের কারাদন্ড এবং চেকের সমপরিমাণ ৮৮ লাখ ৩৯ হাজার ২৩ টাকা অর্থদন্ডের আদেশ দেন ২য় যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ ছালামত উল্লাহ’র আদালত।
অন্যদিকে আকবরশাহ থানাধীন দূর্গাপুর এলাকার এ.জে.এম সেলিম কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা ধার নেন কালাম। উক্ত টাকা পরিশোধের জন্য মামলার বাদীকে ৫ লক্ষ টাকার ২টি চেক প্রদান করেন ফটিকছড়ি থানাধীন নিশ্চিন্তাপুর এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে কালাম।
পরে চেক সংশ্লিষ্ট হিসাবে তা উপস্থাপন করলে উক্ত চেক দুটি ডিজঅনার হয়ে ফেরত আসে। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর পৃথক দুটি মামলা করেন সেলিম।
পৃথক দুটি চেক প্রতারণার মামলায় চট্টগ্রামের ৬ষ্ঠ যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ রাশেদ তালুকদারের আদালত কালামকে এক বছর করে ২ বছরের জেল ও পাঁচ লাখ টাকা করে মোট ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বলে জানান বাদীর আইনজীবী এ.এম জিয়া হাবীব আহসান।