বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন মন্ত্রীসভা, চট্টগ্রাম থেকে আলোচনায় যাঁরা

প্রকাশিতঃ ২ জানুয়ারী ২০১৯ | ৫:২৪ অপরাহ্ন

চট্টগ্রাম : টানা তৃতীয়বার সরকার গঠন করতে যাওয়া আওয়ামী লীগের মন্ত্রীসভা হবে তিনজন টেকনোক্রেটসহ সাকূল্যে ৩৩ জনের। রাজনীতিতে পরীক্ষিত, ক্লিন, তারুণ্যদীপ্ত, ডায়মানিক এবং যাদের বিরুদ্ধে অপেক্ষাকৃত দুর্নীতির অভিযোগ নেই তারাই মূলত নতুন মন্ত্রীসভায় স্থান পেতে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সূত্রগুলো বলছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বনের পাশাপাশি জঙ্গী, মাদক এবং ব্যাংকিং সেক্টরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার মধ্যদিয়ে কিংবদন্তি রাষ্ট্রনায়ক হয়ে থাকতে চান জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর সেই আঙ্গিকেই গঠন করতে চান নতুন মন্ত্রীসভা। সেক্ষেত্রে সিনিয়র কয়েকজন ছাড়া বাদ পড়তে পারেন বর্তমান মন্ত্রীসভার অধিকাংশ সদস্য।

সূত্র মতে, জাতীয় পার্টি যদি সরকারের অংশীদার হয়, সেক্ষেত্রে দলটির ২ থেকে ৩ জন এবং মহাজোটের শরীক অন্যান্য ছোট দলগুলোর ৩ থেকে ৪ জন মন্ত্রীসভায় ঠাঁই পেতে পারেন। সেক্ষেত্রে বিকল্প ধারার যুগ্ম মহাসচিব তারুণ্যদীপ্ত মেধাবী রাজনীতিক মাহী বি চৌধুরীর মন্ত্রীসভায় থাকার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। সবমিলিয়ে একটি মেধাবী, ক্লিন, এনার্জেটিক মন্ত্রীসভা গঠন করতে ইতোমধ্যেই প্রাইমারি খসড়া তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে, চমকপূর্ণ মন্ত্রীসভায় চট্টগ্রাম থেকে কারা স্থান পাচ্ছেন তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা, সমীকরণ। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আওয়ামী রাজনীতির পাঠশালার পরীক্ষিত ছাত্র হিসেবে পরিচিত, মেধাবী, তারুণ্যদীপ্ত রাজনীতিক ড. হাছান মাহমুদের নতুন মন্ত্রীসভায় থাকার সম্ভাবনা বেশি। মন্ত্রী হিসেবে দেশে-বিদেশে ৫ বছরের সাফল্য, দলের অন্যতম মুখপাত্র হিসেবে রাজনীতির মাঠে সফল-সাহসী পদাচরণা, মেধা আর তারুণ্য মিলিয়ে আগামির চ্যালেঞ্জিং মন্ত্রীসভার আলোচনায় সর্বাগ্রে আছে হাছান মাহমুদের নাম।

এছাড়া চট্টগ্রাম থেকে নবনির্বাচিত তরুণ সাংসদ, চট্টলবীর মহিউদ্দিন চৌধুরীপুত্র ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরীও আলোচিত হচ্ছেন নতুন মন্ত্রীসভায়। ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনে সক্ষমতা, নারায়নগঞ্জ সিটি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে অনবদ্য ভূমিকা, রাজনীতিতে মেধার পরিচয়- সব মিলিয়ে ব্যারিস্টার নওফেল দলের আস্থায় পরিণত হয়েছেন বলে আলোচনা নীতিনির্ধারণী মহলে। এসব কারণে একেবারে তরুণ বয়সেই তিনি পেতে পারেন প্রতিমন্ত্রীর স্বাদ।

নতুন মন্ত্রীসভায় ঠাঁই পাওয়ার সম্ভাবনা চট্টগ্রামের রাউজান থেকে টানা চারবার এমপি নির্বাচিত হওয়া এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। নবম সংসদে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এবং দশম সংসদে রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন তার সক্ষমতা-সফলতা। পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের তৎকালীন বিরোধীদলের অন্যতম নেতা এবিএম ফজলুল কবির চৌধুরীর সন্তান-এই পরিচয়ের বাইরেও গত প্রায় দুইদশক এমপি থাকাকালে রাজনীতিতে তিনি মেধা, যোগ্যতা এবং ক্যারিশমার পরিচয় দিয়েছেন। আর এই বিষয়গুলোই নতুন মন্ত্রীসভায় ঠাঁই পেতে তাঁর আমল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে বুধবার সকালে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী একুশে পত্রিকাকে বলেন, আমি কিছুই জানি না। সব আল্লাহর ইচ্ছা এবং নেত্রীর মর্জি। তবে দায়িত্ব পেলে গতানুগতিকতার বাইরে গিয়ে নতুন এবং ব্যতিক্রম কিছু জাতিকে উপহার দেয়ার চেষ্টা করবো।

এদিকে, জাতীয়পার্টি সরকারে থাকার সিদ্ধান্ত নিলে মন্ত্রীসভায় থাকতে পারেন ব্যারিস্টার নওফেলকে নিজের আসন (কোতোয়ালী) ছেড়ে দেয়া জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু।

জানা গেছে, পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাকালে সার্বক্ষণিক কাছে ছিলেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন বাবলু। দল সরকারের অংশীদার হলে আনুগত্যের নানা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ জিয়াউদ্দিন বাবলুই হতে পারেন নতুন মন্ত্রীসভায় এরশাদের প্রথম চয়েস।

একুশে/এটি