ঢাকা : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখা সংবিধান ও মানবাধিকার পরিপন্থী বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার জমির উদ্দিন সরকার।
শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি চেয়ারপারসনের সুচিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
জমির উদ্দিন বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা ও সাজা প্রদানে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, প্রতিহিংসাপরায়ণ এবং শুধু মাত্র বেগম জিয়াকে হয়রানি ও বিপর্যস্ত করার জন্য। এখন দেশে-বিদেশে বিভিন্ন অধিকার গ্রুপ, মানবাধিকার সংস্থা এমনকি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সরকারগুলোর পক্ষ থেকেও বেগম জিয়ার মামলাকে সাক্ষ্য প্রমাণহীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করা হয়েছে।
জমির উদ্দিন সরকার বলেন, সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে এক শোচনীয় পরিণতির দিক ঠেলে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, কারাগারে অবস্থানকালীন তাঁর কক্ষের বাথরুমে তিনি পড়ে গিয়ে প্রচন্ড ব্যাথা পেয়েছেন। নির্জন, নিঃসঙ্গ, নিরাপত্তাহীন পরিবেশের কারণে তার নিদ্রাহীনতা, উদ্বেগ, বিষন্নতাসহ মানসিক রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ার সম্ভাবণা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি তার আকস্মিক হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
জমির উদ্দিন সরকার বলেন, সরকারের লোকজন শুরু থেকেই বেগম খালেদা জিয়ার যথাযথ সুচিকিৎসার বন্দোবস্ত করছে বলে দেশ ও বিশ্ববাসীকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করে আসছেন, কিন্তু কারাগারে থাকার সময় বন্দী দেশনেত্রীর সুচিকিৎসার উদ্যোগ নেয়ার কোন গ্রহণযোগ্য প্রমাণ আজও দেশ ও বিশ্ববাসীর কাছে উপস্থাপন করতে পারেননি বরং সাম্প্রতিককালে সরকার নিয়োজিত চিকিৎসকদল তাঁর স্বাস্থ্য বিষয়ে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন তাতে এক বছর পূর্বে ব্যক্ত সকল অনুমান ও শঙ্কা অক্ষরে অক্ষরে সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। ফলে সরকারের সুচিকিৎসার দাবিকে সাম্প্রতিক মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্ট বিন্দুমাত্র সমর্থন করছে না। এই মেডিকেল বোর্ডের লিখিত প্রতিবেদনে বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য বিষয়ে শঙ্কা ও পূর্বানুমিত ক্রমাবনতির ধারণা এখন প্রতিনিয়ত মারাত্মক অবনতির চিত্রই ক্রমাগত ফুটে উঠছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস-চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারমনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এবি এম ওবায়দুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর হেলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
একুশে/ডেস্ক/এসসি