শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে ২ কোটি, ১০ হাজার পরিবারে খাবার দিচ্ছে পিএইচপি

করোনাভাইরাস

প্রকাশিতঃ ৩১ মার্চ ২০২০ | ১০:৪২ অপরাহ্ন


চট্টগ্রাম : মাহামারী নভেল করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দুই কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে দেশের অন্যতম শিল্প গোষ্ঠী পিএইচপি ফ্যামিলি। এছাড়া চলমান দুঃসময়ে ১০ হাজার পরিবারের অসহায় ও গরীর মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে তারা। চট্টগ্রাম ও বৃহত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে এসব পরিবারের মাঝে আজ মঙ্গলবার থেকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বিতরণ করা হবে এসব খাদ্যপণ্য।

এ প্রসঙ্গে পিএইচপি ফ্যমিলির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সুফি মোহম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, করোনাভাইরাসের মতো মহামারী প্রতিরোধে সবাইকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে কাজ করে যেতে হবে। দল ও মত নির্বিশেষে সবাইকে অসহায়দের জন্য এগিয়ে আসতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সচেতনতাই পারে করোনা প্রতিরোধ করতে।

এদিকে নগরীর সাগরিকায় অবস্থিত প্রোটন গাড়ির কারখানায় চলছে অসহায় পরিবারের জন্য খাবারের প্যাকেজিং। আজ মঙ্গলবার কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, প্রকৌশলী থেকে শুরু করে গাড়ি উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা কর্মকর্তা ও কর্মীরা একসঙ্গে নেমেছেন এ দুর্যোগে। সকাল থেকে বিরামহীনভাবে শুকনো খাদ্য আলাদাভাবে ব্যাগে ভরে পরে সেগুলো একটি নির্দিষ্ট বড় কার্টনে ভরছেন তারা।

এই কাজে অভিজ্ঞতা না থাকলেও মানুষের জন্য কিছু করার মানসিকতা থেকে তারা এসব করছেন স্বতঃস্ফুর্তভাবে। আর কারখানায় সার্বক্ষণিক অবস্থান করে পিএইপি অটোমোবাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আখতার পারভেজ এই প্যাকেজিং কাজের তদারকি করছেন।

আখতার পারভেজ বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে সারা পৃথিবীর দুর্যোগের ধাক্কা আমাদের দেশেও এসে লেগেছে। এই সময় আমরা কারখানায় গাড়ি উৎপাদন বন্ধ রেখে তা মানবসেবায় রূপান্তর করেছি। কারখানাকে বানিয়েছি খাবারের গুদাম। এখানেই চলছে খাবার প্যাকেজিংয়ের কাজ। প্যাকেজিং শেষ হলে তা দ্রুত নিম্ন অভাবগ্রস্থদের মাঝে পৌঁছে দেওয়া হবে। মানবসেবার এই ধরনের কাজ পিএইচপি ফ্যামিলি অব্যাহত রাখবে বলেও জানান তিনি।

জানা যায়, জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে এসব শুকনো খাদ্য গরীব জনগণের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। এসব খাবারের তালিকায় থাকছে চাল, ডাল, লবণ, ভোজ্য তেল ও আলু। ঘরবন্দি মানুষের জন্য অনিবার্য খাবারগুলোই বিতরণের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সমাজসেবায় বিশেষ অবদান রাখায় পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে সরকার এবছর একুশে পদকে ভূষিত করেন। একুশে পদকের সঙ্গে প্রাপ্ত অর্থ ইতিমধ্যে তিনি করোনাভাইরাস সংক্রমণের চিকিৎসায় দিয়ে দিয়েছেন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালকের হাতে এই অর্থ হস্তান্তর করা হয়েছে।