বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হলেন বাঁশখালীর সাদাত-নীলু দম্পতি


বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : বাঁশখালীর সাধনপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সন্তান মোহাম্মদ সাদাত হোসেন। ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মজীবনে পা দেন। পাশাপাশি স্বপ্ন দেখেন আর ভাবেন ৩৩তম বিসিএস-এ অংশ নিবেন। যেই ভাবা সেই কাজ। অংশ নিয়েছেন ৩৩তম বিসিএস-এ। কিন্তু উত্তীর্ণ হতে না পারায় স্বপ্ন ছোঁয়ার আশা পূরণ হয়নি তার। এরপরেও হাল ছাড়েননি তিনি। একে একে ৬ বার অংশগ্রহণ করেন বিসিএস পরীক্ষায়। অবশেষে ৩৮ তম বিসিএস-এ তিনি লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে সক্ষম হলেন। সদ্য ঘোষিত ৩৮তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফলে প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন তিনি।

অপরদিকে তার স্ত্রী নুর পেয়ারা বেগম নীলু প্রথমবারের অংশ নিয়ে দেখালেন চমক। ৩৮ তম বিসিএসে (প্রশাসন) অংশ নিয়ে মেধাতালিকায় ১৫ তম স্থান দখল করেন। দুজনের বাড়ি বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নের একই গ্রামের ৬ নং ওয়ার্ডে। গত বছর তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের ঘরে এক ছেলে সন্তান রয়েছে।

প্রশাসন ক্যাডারে মেধাতালিকায় ১২৩ তম অবস্থানে থাকা মোহাম্মদ সাদাত হোসেন সাধনপুর পল্লী উন্নয়ন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০৪ সালে এসএসসি পাস করার পর এডমিশন নেন সরকারি হাজি মুহাম্মদ মহসিন কলেজে। সেখান থেকে এইচএসসি পাস করে উত্তীর্ণ হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পরবর্তীতে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিষয়ে বিবিএ ও এমবিএ ডিগ্রী অর্জন করেন। বর্তমান বিআরটিএ চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন।

এতবড় সাফল্যের পেছনে কী ছিল প্রেরণাশক্তি-এমন প্রশ্নের জবাবে সাদাত বলেন, “আল্লাহর কাছে লাখো কোটি শোকরিয়া। আমার স্ত্রী ও আমি দুজনেই ৩৮ তম বিসিএস-এ এডমিন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি। সেই ৩৩ থেকে আমি স্বপ্নের পেছনে ছুটছিলাম। অবশেষে ৬ষ্ঠ চেষ্টায় সফলতা লাভ করলাম। স্বপ্নের পেছনে লেগে থাকলে আল্লাহ নিরাশ করেন না। এটাই তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

সাদাতের স্ত্রী নুর পেয়ারা বেগম নীলু ২০০৬ সালে সাধনপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করার পর ওমরগণি এমইএস কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে থেকে এইচএসসি পাস করে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যাপ্লাইড ফিজিক্স বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। নীলু বর্তমানে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে কর্মরত আছেন।

সাদাত-নীলু দম্পতিসহ বাঁশখালী থেকে ৩৮ তম বিসিএস-এ ১১ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।

তারা হলেন বাঁশখালীর বাঁশখালা গ্রামের শহিদুল আলম মিনহাজ (প্রশাসন), ইলশা গ্রামের ইমরান হাসান চৌধুরী (শিক্ষা),চাম্বলের সজল কৃষ্ণ (ট্যাক্স), সাধনপুরের শেখ সাদাত হোসাইন (প্রশাসন), রায়ছটার কামরুন নাহার কুমু, মীর মো. মুবিনুল হক (শিক্ষা ও অর্থনীতি), পৌরসভার নেলি রুদ্র (প্রশাসন), পৌরসভার লিমন বড়ুয়া, পৌরসভার সুজন দাশ। এছাড়া প্রশাসন ক্যাডারে মেধা তালিকায় ১০ম স্থানে রয়েছেন নাপোড়া গ্রামের রূপায়ুন দেব। রুপায়ন বর্তমানে ব্যাংকে কর্মরত আছেন।