শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘চট্টগ্রামে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ধর্ষণ মামলার বাদীর পরিবার’

প্রকাশিতঃ ৭ জুলাই ২০২০ | ৬:৩৮ অপরাহ্ন


চট্টগ্রাম : নগরীর বায়েজিদ এলাকায় ১৬ বছরের এক তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করায় পরিবারকে হুমকি ও হত্যার ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে। আসামিপক্ষের লোকজনের হুমকিতে ভুক্তভোগীর পরিবার পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (৭ জুলাই) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এসএস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সার্ক মানবধিকার ফাউন্ডেশনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রধান এস এম আজিজ এসব অভিযোগ করেন।

এর আগে গত ২৭ জুন সন্ধ্যার পর বায়েজিদ এলাকায় এক তরুণী ধর্ষণের শিকার হন। একইদিন রাতে ঘটনায় জড়িত আনোয়ার এবং হেলালকে গ্রেপ্তার করে বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ।

এ ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত ও ভুক্তভোগীর পরিবারকে নিরাপত্তা প্রদানের দাবিতে আয়োজিদ সংবাদ সম্মেলনে সার্ক মানবধিকার ফাউন্ডেশনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রধান এস এম আজিজ বলেন, মামলার বাদী ভুক্তভোগী কিশোরীর মা আমাদেরকে জানিয়েছেন অভিযুক্তদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দাতা আব্দুল নবী লেদু, শফিকুল ইসলাম শফি, গোলাম রসূল সাদ্দাম, ফাহিম তানভীর আহমেদ, হাবিবুর রহমান দুলাল, আলাল মামলার পরবর্তীতে প্রাথমিক পর্যায়ে টাকা দিয়ে ঘটনাটি মীমাংসার চেষ্টা করে। তারা এতে ব্যর্থ হয়ে তাকে মেরে ফেলাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে বাদী ও ভুক্তভোগী প্রাণনাশের ভয়ে এক আত্মীয়ের বাসায় আত্মগোপনে আছেন। মামলা করার সময় উপরে উল্লেখিত ব্যক্তি ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা থানায় মামলা না করার জন্য হুমকি-ধমকি প্রদর্শন করে। এ রকম একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনার পরও আসামি পক্ষের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদের এই রকম আস্ফালন এবং বাদি ও ভিকটিমের নিরাপত্তাহীনতা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং আইনের শাসনের প্রতি সুস্পষ্ট বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন।

সার্ক মানবধিকার ফাউন্ডেশনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রধান এস এম আজিজ বলেন, মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে, আদালতে সুস্পষ্ট জবানবন্দিও প্রদান করেছে। মেয়েটি ও তার পরিবার ধর্ষকদের কঠোর শাস্তি চায়। আমরা এই বর্বরোচিত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং ধর্ষণকারী ও তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দানকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।

এ সময় আসক চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির জেনারেল প্রেসিডেন্ট এমদাদুল করিম, ফুটন্ত কিশোর সংগঠনের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও মো. বাবলু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।