কুয়েতে পাপুল-কাণ্ডে রাষ্ট্রদূত আবুল কালাম জড়িত!


ফয়সাল করিম : কুয়েতে পাপুলের মানব ও অর্থপাচার মামলায় এবার সামনে এসেছে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের নাম। অভিযোগ উঠেছে, কুয়েতে মানবপাচারে কেবল সাংসদ পাপুল একাই দায়ী নয়, বরং গোপনে এ কাজে তাকে সহায়তা করেছেন বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালাম। এই মামলায় তাই রাষ্ট্রদূতের নামও চলে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মানবপাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনকে কুয়েতের রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালামের বিরুদ্ধে একটি সতর্কতা বার্তা জারি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

মিডল ইস্ট মনিটর জানায়, এই সপ্তাহের প্রথমদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন হুশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন কুয়েত যদি রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে তবে বাংলাদেশও তাকে কোনো ছাড় দেবে না। অর্থ ও মানবপাচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার জিরো টলারেন্স নীতি মেনে চলে। যে দলই করুক না কেন তাকে শাস্তি পেতেই হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কুয়েতের রাষ্ট্রদূত কালামের মেয়াদ এ মাসেই শেষ হচ্ছে। তাই দেশে ফিরে আসলে তার বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেয়া হয় সেটিই এখন দেখার বিষয়। এদিকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কুয়েতে নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগের কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এর আগে ৬ জুন কুয়েতের অপরাধ তদন্ত বিভাগ বাংলাদেশি সংসদ সদস্য মো. শহিদ ইসলাম পাপুলকে গ্রেফতার করে। কুয়েতের কৌঁসুলিরা তার বিরুদ্ধে অর্থ, মানবপাচার ও নিজ দেশের কর্মীদের শোষণ করার অভিযোগ তোলে।

প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি। তাঁর বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। তিনি একজন ব্যবসায়ী। বাবার প্রতিষ্ঠিত মোজাহের ওষুধালয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

২০০১ সালে আওয়ামী লীগের টিকিটে চট্টগ্রাম-৮ আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন এসএম আবুল কালাম। টানা দ্বিতীয় মেয়াদের শেষের দিকে আওয়ামী লীগ সরকার এসএম আবুল কালামকে কুয়েতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত করেন।