শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করলেন চবির সহকারী প্রক্টর হানিফ

প্রকাশিতঃ ২০ জুলাই ২০২০ | ৮:৩৯ অপরাহ্ন


চবি প্রতিনিধি : রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষদের পুকুর থেকে মাছ ধরে নেওয়ার ঘটনায় সমালোচনার মুখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সহকারী প্রক্টর পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন হানিফ মিয়া।

সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান একুশে পত্রিকাকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর হানিফ মিয়া মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গতকাল রোববার সহকারী প্রক্টর পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত দেওয়া হয় নি।

তিনি বলেন, উপাচার্য সুস্থ হলে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। কি কারণ দেখিয়ে সহকারী প্রক্টর হানিফ মিয়া অব্যাহতি চেয়েছেন জানতে চাইলে প্রফেসর মনিরুল হাসান বলেন, উনার পারিবারিক অসুবিধা এবং সময়ের কারণে অব্যাহতি চেয়েছেন।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক সহকারী প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর চবি ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ইফতেখার উদ্দিন আয়াজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনশন কর্মসূচি পালন করেন। পরে এই শিক্ষকের বিষয়ে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন তিনি। ছাত্রলীগ নেতা ইফতেখার উদ্দিন আয়াজের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি কার্যালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ইউজিসি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে।

রাষ্ট্রপতি কার্যালয় ও উপাচার্য বরাবরে পাঠানো অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা ইফতেখার উদ্দিন আয়াজ উল্লেখ করেন, “কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তির ঘটনায় গ্রেপ্তার চবির সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক মাইদুল ইসলামকে মুক্তির দাবিতে সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. হানিফ মিয়া সভা-সমাবেশ আয়োজন করেন। ওই সময় সরকারের বিরুদ্ধে সারাদেশে জামায়াত-শিবিরের ইন্ধনে নৈরাজ্য চলছিল। এ সময় সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে প্রকাশ্যে শিক্ষার্থীদের উস্কানি দিতে থাকেন মাইদুল ইসলাম। তার পক্ষে প্রকাশ্যে কর্মসূচি দিয়ে রাস্তায় নামা শিক্ষক কখনো আওয়ামীপন্থী প্রশাসনের দায়িত্ব পালন করতে পারে না।”

এদিকে সারাবিশ্ব যখন মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শঙ্কায় কুপোকাত সেই সময় গত ১৬ এপ্রিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধ চলাকালে জীববিজ্ঞান অনুষদের পুকুর থেকে অবৈধভাবে মাছ ধরে নিয়ে যান তিনি। এবং সেই মাছ ধরে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সমালোচিত হন সহকারী প্রক্টর ড. হানিফ মিয়া।