ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতসহ ৭ পুলিশ বরখাস্ত


ঢাকা : মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার টেকনাফ থানার প্রত্যাহার হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ সাত পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার তাদের বরখাস্ত করা হয় বলে জানান পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী পুলিশ মহাপরিদর্শক সোহেল রানা।

বরখাস্ত হওয়া অন্যরা হলেন সিনহাকে গুলি করা পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী, কনস্টেবল সাফানুর করিম, উপপরিদর্শক নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন এবং সহকারী উপপরিদর্শক লিটন মিয়া।

এই সাত পুলিশ সদস্যের নাম উল্লেখ করে গত বুধবার মামলা করেন সিনহা রাশেদের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এই সাত আসামি গতকাল বৃহস্পতিবার কক্সবাজার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এর পর আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

পরে শারমিন ফেরদৌসের করা হত্যা মামলার তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাবের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিনজনকে (প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলী, সাফানুর করিম) সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে র‌্যাব। বাকি চারজনকে (নন্দ দুলাল রক্ষিত, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন এবং লিটন মিয়া) জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি পেয়েছে র‌্যাব।

এই মামলার অপর দুই আসামি টুটুল ও মোস্তফাকে পলাতক দেখিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

কক্সবাজারের টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর পুলিশ তল্লাশিচৌকিতে গত ৩১ জুলাই রাতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান (৩৬)।

এ ঘটনার বিচার চেয়ে গতকাল বুধবার কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন নিহতের বড় বোন শারমিন।

আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ মামলাটি গ্রহণ করেন। তিনি এজাহারটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে সাত দিনের মধ্যে আদালতকে অবহিত করতে টেকনাফ থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।

পাশাপাশি মামলাটি তদন্ত করে আদালতকে জানানোর জন্য র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ক্যাম্পের অধিনায়ককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।