প্রদীপের বিরুদ্ধে মামলা খারিজ: পুলিশের করা মামলাটির তদন্তে সিআইডি


কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারের মহেশখালীতে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আবদুস সাত্তার নামের এক ব্যক্তি নিহতের ঘটনায় তৎকালীন মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে গতকাল বুধবার দায়েরকৃত মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

তবে হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে চার বছর আগে পুলিশের পক্ষে অজ্ঞাতনামা আসামি দেখিয়ে দায়েরকৃত মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি)। চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলাটি এএসপি মর্যাদার একজন সিআইডি কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দিতে নির্দেশ দেন বিচারক।

বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে মহেশখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন এ আদেশ দিয়েছেন।

এর আগে গতকাল বুধবার (১২ আগস্ট) ওসি প্রদীপ ও পুলিশের ৫ সদস্যসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের আবেদন করেন নিহত আবদুস সত্তারের স্ত্রী হামিদা আক্তার।

বাদি পক্ষের আইনজীবী শহিদুল ইসলাম জানান, আবদুস সাত্তার হত্যার ঘটনায় দায়ের করা ফৌজদারি দরখাস্তটি আমলে নিতে অপারগতা জানিয়ে আদালত বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে রিট রয়েছে।

হামিদা আক্তারের দায়েরকৃত ফৌজদারি দরখাস্তে মহেশখালীর ফেরদৌস বাহিনীর প্রধান ফেরদৌস, থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, এসআই হারুনুর রশীদ, এসআই ইমাম হোসেন, এএসআই মনিরুল ইসলাম, এএসআই শাহেদুল ইসলাম ও এএসআই আজিম উদ্দিনকে অভিযুক্ত করা হয়োছিল।

ভিকটিম আবদুস সাত্তার হোয়ানক পূর্ব মাঝেরপাড়ার মৃত মৃত নুরুচ্ছফার পুত্র।

হামিদা আক্তার জানান, গত ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী সকাল ৭টার দিকে ফেরদৌস বাহিনীর সহায়তায় হোয়ানকের লম্বাশিয়া এলাকায় তার স্বামী আবদুস সাত্তারকে হত্যা করা হয়।

তিনি জানান, ওই সময় এ ঘটনায় থানায় মামলা না নেয়ায় উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হন। রিট পিটিশন নং-৭৭৯৩/১৭ মূলে ‘ট্রিট ফর এফআইআর’ হিসেবে গন্য করতে আদেশ দেন বিচারক।

সেই আদেশের আলোকে তিনি একই বছরের ১৭ জুলাই কক্সবাজারের পুলিশ সুপারকে লিখিত দরখাস্ত দেন। কিন্তু পুলিশ আবেদন আমলে নেয় নি বলে জানান হামিদা আক্তার। পরে রিটটি স্থগিত হয়ে যায়।