পূর্ব সুন্দরবনের করমজলে বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র থেকে কুমিরের আরো ১৭টি বাচ্চার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। এই প্রজনন কেন্দ্র থেকে ৪৩টি বাচ্চা চুরির ঘটনার রেশ না কাটতেই এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বন বিশেষজ্ঞরা।
প্রজনন কেন্দ্রের যে প্যানে ছোট বাচ্চাগুলো রাখা হয় সেখান থেকে অন্য প্যানে স্থানান্তর করা হয়েছে। ওই প্যানটির বিশেষ নিরাপত্তার জন্য নেট ও সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। করমজল বন্যপ্রাণী কেন্দ্রে সর্বক্ষণিক নজরদারির জন্য বনবিভাগের একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সাইদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সাইদুল ইসলাম সোমবার সকালে গণমাধ্যমকে বলেন, রোববার দুপুরে করমজলের প্রজনন কেন্দ্রের কুমির প্যানের পাশে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় সেখান থেকে ১৭টি বাচ্চার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই মৃতদেহের গায়ে বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বন্যপ্রাণীর আক্রমণে গত রাতে এ বাচ্চাগুলোর মৃত্যু হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, কি কারণে কুমিরের বাচ্চাগুলোর মৃত্যু হয়েছে তা জানতে কুমিরের মৃত বাচ্চাগুলোর মধ্যে দুটি মৃতদেহ ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া আরও দুটি মৃতদেহকে খুলনা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রে পরিক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
গত ২৯ জানুয়ারি করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র থেকে কুমিরের ৪৩টি বাচ্চা চুরি হয়। বিষয়টি জানার পর গত ১ ফেব্রুয়ারি বনকর্মী মাহাবুব হোসেনসহ দুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে ঘটনা তদন্তে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা করে বনবিভাগ।
