বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বর্ণনা দিলেন তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ ১৮ অক্টোবর ২০২০ | ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন

চট্টগ্রাম : করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বর্ণনা একুশে পত্রিকাকে দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

শনিবার (১৭ অক্টোবর) দিবাগত রাতে তথ্যমন্ত্রী জানান, চার-পাঁচদিন আগে গলায় সামান্য অস্বস্তি অনুভব করেন তিনি। এরপর সুস্থ হয়ে যান।

হঠাৎ করে গত বৃহস্পতিবার রাতে ১০১ ডিগ্রি জ্বর উঠে হাছান মাহমুদের। রাতে জ্বরের ওষুধ খেয়ে ঘুমান। সকালে উঠে দেখেন জ্বর আর নেই। দিনভর সুস্থ অনুভব করেন।

তবুও নিশ্চিত হতে স্বাস্থ্যকর্মীদের ডেকে এনে করোনা ও ম্যালেরিয়াসহ বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তখনও তিনি সুস্থ!

নমুনা নিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা চলে যাওয়ার পর শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে আবার খারাপ লাগা শুরু হয়। পরীক্ষা করে দেখা যায়, মন্ত্রীর শরীরে ১০২ ডিগ্রি জ্বর।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ একুশে পত্রিকাকে বলেন, সন্ধ্যায় ১০২ ডিগ্রি জ্বর উঠার পর অক্সিজেন লেভেল মেপে দেখি ৯৪ থেকে ৯৫ এর মধ্যে উঠানামা করছে। আর দেরি না করে রাত ৯টার দিকে স্কয়ার হাসপাতালে চলে আসি।

এরপর রাত ১১টার দিকে তথ্যমন্ত্রী জানতে পারেন, তাঁর করোনা পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ এসেছে।

আগের চেয়ে ভালো আছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, শুক্রবার অনেকক্ষণ বিছানায় ছিলাম। আজকে (শনিবার) জ্বর, শুকনো কাশি কিছুই নেই। আমি কাজ পাগল মানুষ। এভাবে হাসপাতালে শুয়ে থাকতে ইচ্ছে করছে না।

স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা তথ্যমন্ত্রীকে দেখার উপায় আপাতত নেই। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এখানে দর্শনার্থী প্রবেশের সুযোগ নেই। আমার স্ত্রী কিছু সময়ের জন্য আসতে পারলেও তাকে দূরত্ব বজায় রাখতে হয়।

করোনাভাইরাস মহামারীকালে প্রায় প্রতিদিনই সচিবালয় ও আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে কাজ করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। করোনাকালে মন্ত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে সক্রিয় ছিলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, করোনার মধ্যে পার্টি অফিসও বাদ দিইনি, প্রায় প্রতিদিন গিয়েছি। তবে অসুস্থতা অনুভব করায় গত কয়েকদিন যাইনি।

চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসন থেকে তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ড. হাছান মাহমুদ প্রথমে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং ৬ মাস পর পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রী এবং তিন বছরের মাথায় এই মন্ত্রণালয়ের পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন ড. হাছান মাহমুদ। ২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত বন পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপরিত দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এরপর সরকারের তথ্যমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন ড. হাছান মাহমুদ।

২০০১ সালের অক্টোবরে হাছান মাহমুদ যোগ দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর বিশেষ সহকারী হিসেবে। অল্পদিনের মধ্যেই ২০০২ সালে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তিনি দলের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পান। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সে দায়িত্ব পালন করেন ড. হাছান মাহমুদ।

২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর বিশেষ সহকারীর দায়িত্ব পালন করেন বিশ্বস্ততার সাথে। এরপর ড. হাছান মাহমুদ পরপর দুই কমিটিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন দক্ষতার সাথে। বর্তমানে যুগ্ম সম্পাদকের পাশাপাশি দলের অন্যতম মূখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।