সমস্যায় জর্জরিত বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা

নজিব চৌধুরী: শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। একটি দেশের শিক্ষার হার যত বেশি, দেশটি তত উন্নত ও সমৃদ্ধ। যুগ যুগ ধরে মনীষীগণ শিক্ষাকে নানাভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। আবার সময়ের প্রেক্ষাপটে এর সংজ্ঞা ও ধারণাতেও পরিবর্তন এসেছে। সাধারণ অর্থে জ্ঞান বা দক্ষতা অর্জনই শিক্ষা। তবে ব্যাপক অর্থে পদ্ধতিগত-ভাবে জ্ঞান লাভের প্রক্রিয়াকেই শিক্ষা বলে। বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথের ভাষায়- ‘শিক্ষা হচ্ছে তাই, যা আমাদের শুধু তথ্য পরিবেশনই করেনা, বিশ্ব সত্ত্বার সাথে সামঞ্জস্য রেখে জীবনকেও গড়ে তুলে।’ এরিস্টটল বলেছেন- সুস্থ দেহে সুস্থ মন তৈরি করাই হচ্ছে শিক্ষা। আমাদের দেশে তিন ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রয়েছে, অর্থাৎ- সাধারণ, ইংরেজি মাধ্যম ও মাদ্রাসা শিক্ষা।

শিক্ষিত বা দক্ষ নাগরিক তখনই গড়ে উঠে যখন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা- ব্যবহারিক, যৌক্তিক, প্রযুক্তিগত ও বিজ্ঞানসম্মত হবে। এখন অবধি এসব বিষয়ে প্রতিভা বিকাশের তেমন উল্লেখযোগ্য সুযোগ গড়ে উঠেনি। শিক্ষা বিশ্লেষকদের অভিমত- যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ে নামান্তর যুগোপযোগী শিক্ষা কোর্স চালু রয়েছে, কিন্তু পাঠদানের জন্য দক্ষ শিক্ষকের ঘাটতি বিলক্ষণ বেশি। পক্ষান্তরে এদেশে মুখস্থ বিদ্যার দাম বেশি। কারণ পাঠ্যসূচীকে এমন ভাবে সাজানো হয়েছে, গৎবাঁধা মুখস্থ না করলে ভাল ফলাফল করা অসাধ্য হয়ে যায়। কার্যত এই বস্তুবাদী মুখস্থ বিদ্যাটা ব্রিটিশরা আমাদেরকে উপহার দিয়ে গেছে।

ইংরেজদের উদ্দেশ্য ছিল, ভারত উপমহাদেশের নাগরিকদের মধ্য থেকে একদল শিক্ষিত মানসিক গোলাম ও প্রভুভক্ত লোক তৈরি করা, যারা শুধু জাতিগত ভাবে উপমহাদেশীয় থাকবে কিন্তু মানসিকভাবে বিলাতিয়ানা, আর তারা ইংরেজদের সভ্যতা, সংস্কৃতি এবং আচার-আচরণকে শ্রেষ্ঠ ও চমৎকার মনে করবে, সর্বোপরি ব্রিটিশদের ধ্যানধারণায় তারা পরিগঠিত হবে। আর এই বস্তুবাদী মুখস্থ বিদ্যাটা আমাদের দেশে এখনো আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে চালু রয়েছে। যা আমাদেরকে একটি স্বতন্ত্র ও আদর্শিক, সুসভ্য সংস্কৃতির অধিকারী জাতি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হতে দেয়নি। এ শিক্ষা আমাদেরকে মানসিকভাবে করেছে বহুগামী। তাই স্বাধীন দেশের নাগরিক হওয়া স্বত্বেও আমাদের চিন্তা প্রণালী এখনো বিচিত্রগামী। এদেশে চাকরীর বাজার অনেক গরম।

বিষয়ভিত্তিক পারদর্শিতা না থাকার কারণে উপরি ছাড়া অনায়াসে চাকরী মিলে না। প্রতিনিয়ত দেশ থেকে মেধাবীরা হরণ হয়ে যাচ্ছে। বিদেশগামী অনেক শিক্ষার্থীর অভিমত- আমাদের দেশের মুখস্থ বিদ্যা দিয়ে বিদেশে পোস্টম্যানের চাকরী পাওয়াও অনেক কষ্টকর। তাই বিলাত আর পশ্চিমা বিশ্বে গিয়ে পড়াশোনা করাকে আমরা সোনার হরিণ মনে করছি। জাতীয় উন্নয়নকে সহজসাধ্য করতে হলে, শিক্ষা খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ অপরিহার্য। আর যার সুফল আসে ধীরে ধীরে। যা তাৎক্ষনিক ভাবে সরকারের চোখে পড়েনা। তাই এদেশে শিক্ষা খাতে বিনিয়োগের পরিমাণটা অনেক কম। জনসংখ্যাকে মানব সম্পদে রূপান্তর করতে হলে শিক্ষার বিকল্প নেই।

কর্মমুখী শিক্ষার উপর নির্ভর করে, একটি দেশের জনসংখ্যা বোঝা নাকি সম্পদ ? বিশ্বের কোর কান্ট্রি গুলো কিন্তু শিক্ষাখাতকে গুরুত্ব দিয়েই এত বেশি উন্নতিলাভ করেছে। অর্থনীতিবিদদের মতে- শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ করা, রাষ্ট্রীয়ভাবে সবচেয়ে লাভজনক ও নিরাপদ। আর শিক্ষা এমন একটি খাত যার কাজ হলো, দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলা ও পুঁজির সঞ্চালন ঘটানো। বর্তমান সরকারের আমলে স্কুল-কলেজের পাঠ্যসূচিতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। মুখস্থবিদ্যা কমিয়ে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পাঠদান দেয়া হচ্ছে। কিন্তু সৃজনশীল পাঠদানের দক্ষ শিক্ষকের ঘাটতিটা রয়ে গেছে। ফলে নবীন শিক্ষার্থীদের এখনো কোচিং সেন্টার আর নোট-গাইডবুকের সাহায্য নিতে হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে- এদিকে ব্রিটিশ কারিকুলাম ইংরেজি মাধ্যম স্কুল গুলোতে নেই সরকারিভাবে তেমন তদারকি আর নীতিমালার কার্যকারিতা। এই ধারার শিক্ষার্থীদের মনোভাব বাংলা মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের চেয়ে একটু ভিন্ন। অর্থাৎ তারা বাংলা মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের সাথে তেমন মিশতে চাই না। যা শিক্ষার্থীদের মাঝে একধরণের বৈষম্য সৃষ্টি করছে। আর ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা বাংলা ভাষার পাশাপাশি দেশীয় সংস্কৃতি ও ইতিহাসের প্রতি অবহেলিত লক্ষ্য করা যায়। এমনকি কিছু কিছু শিক্ষার্থী স্কলারশিপের নামে ইউরোপ-আমেরিকাতে দত্তক হিসেবে চলে যাচ্ছে, এমনটিও ঠাহর করা যাচ্ছে।

সাংবিধানিকভাবে শিক্ষার একটি উদ্দেশ্য হচ্ছে- ‘ব্যক্তি ও জাতীয় জীবনের নৈতিক, মানবিক, ধর্মীয়,সাংস্কৃতিক ও সামাজিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠাকল্পে শিক্ষার্থীদের মেধা-মননে, কর্মে ও ব্যবহারিক জীবনে উদ্দীপনা সৃষ্টি করা।’

দুনিয়ার একটি অঙ্গ হচ্ছে ধর্ম। ধর্ম ছাড়া দুনিয়ার জীবন-যাপন মিছামিছি ব্যাপার মাত্র। ধর্মীয় শিক্ষা মানুষকে ন্যায়পরায়ণ, সৎ ও নিষ্ঠাবান হতে সাহায্য করে। যা মানুষের কর্মজীবনে অতি দরকার, পক্ষান্তরে ভ্রষ্টাচারণের হাত লম্বা হয়ে যায়। মুসলিম ছাত্র-ছত্রীদের সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি, ইসলামী জীবন ব্যবস্থা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা অত্যাবশ্যক, কারণ ইসলাম সঠিক পথের দর্শন দেয়। ইসলামিক চিন্তাবিদদের মতে- আমাদের দেশে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি তা গ্রহণের সুযোগ তেমন নেই। স্কুল-কলেজে উপরের ক্লাস গুলোতে, ইসলামিয়াত ও ইসলামের ইতিহাসকে ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে রাখা হয়েছে। ইসলামের ইতিহাস নামে এমন ইতিহাস ছাত্রছাত্রীদের পড়ানো হচ্ছে, যাতে ইসলামকে বিকৃত এবং ইসলামের ইতিহাসকে স্বার্থপরতা ও যুদ্ধবিগ্রহের ইতিহাস হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। বিকৃত ইতিহাস আর ইসলাম সম্পর্কে স্বল্প জানার ফলে ভয়ংকরী তথা আল্লাহ বিমুখ দৃষ্টিভঙ্গি ও মানসিক দ্বন্দ্বের শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। ফলে মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্ন মতাবলম্বী হয়ে যাচ্ছে। পারস্পরিক সৌহার্দ, একতা ও সংহতি হারাচ্ছে। এতে অনেকে ভুল বুঝিয়ে প্ররোচিত করারও সুযোগ নিচ্ছে, অর্থাৎ সুযোগবাদী স্বার্থান্বেষীদের একটাই উদ্দেশ্য যাতে ইসলামের অপযশ ঘটানো যায়।

এমনকি শিক্ষার্থীদের মাঝে অনেকেই একেবারে ইসলাম বিদ্বেষীও হয়ে যাচ্ছে। আর যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক স্টাডিজ নিয়ে পড়ছে, তারা পড়েও না পড়ার মতো, যেন বিষয়টা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পরগাছা হিসেবে আছে। তাঁরা আরও অভিব্যক্ত করে বলেন- যদিও এদেশে আলাদাভাবে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রয়েছে। কিন্তু এ শিক্ষা ব্যবস্থাটি বিসদৃশ সমস্যায় জর্জরিত বেশি; বাংলাদেশে মাদ্রাসা শিক্ষার দুটি ধারা চালু রয়েছে। একটি হচ্ছে ‘দারছে নেজামী’ তথা এ ধারাটি ভারতের দেওবন্দ মাদ্রাসার আদর্শের অনুসারী। দ্বিতীয়টি হচ্ছে আলিয়া লাইন, অর্থাৎ এটি কোলকাতা আলিয়া মাদ্রাসার অনুসারী। কোলকাতা আলীয়া এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিগণিত হয়েছে । বাংলাদেশে এই ধারায় কিছুটা আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার লেজুড় লাগানো হয়েছে অর্থাৎ তাদের সনদ সরকারি ভাবে স্বীকৃত। কিন্তু উচ্চ শিক্ষার তেমন সুযোগ নেই, যার ফলে আলীয়া থেকে দাখিল বা এস এস সি পরীক্ষা দিয়েই অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী কলেজে চলে যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার উদ্দেশ্যে।

দেওবন্দী বা কাওমী মাদ্রাসা আর আলেয়া মাদ্রাসার মধ্যে এটাই মূল পার্থক্য। কিন্তু উভয় ধারা ভারতবর্ষে মুসলিম শাসন আমলে যে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু ছিলো, তারই শিক্ষাক্রমের অনুসারী। তবে কওমী মাদ্রাসায় আমল আখলাকের পার্থক্য রেখেছে বেশি, এখানে বাংলা-ইংরেজি চর্চার সুযোগ নেই, যেন এক ধরণের উর্দু-ফার্সি মাধ্যমের মাদ্রাসা। দুঃখের বিষয়, আমাদের মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার পাঠ্যসূচী কয়েক শতাব্দীর প্রাচীন ও জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়ে গেছে। মুসলিম শাসনামলে এ শিক্ষা ব্যবস্থা ছিলো তখনকারের জন্য যুগোপযোগী। উর্দু-ফার্সি ভাষার চর্চা ছিলো বেশি, তখন এ শিক্ষা ব্যবস্থা থেকেই সরবরাহ হতো- রাষ্ট্র নায়ক, রাষ্ট্র পরিচালনার কর্মকর্তা ও কর্মচারী, সামরিক বিভাগের কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী কুটনীতিক সহ সকল শ্রেণীর দায়িত্বশীল দক্ষ লোক। কিন্তু ইতিহাস এগিয়ে চলছে। ভারতবর্ষে মুসলিম সম্রাজ্যের পতন হয়েছে। ব্রিটিশরা বিতাড়িত হয়েছে।

এরপর দেশ বিভক্ত হয়েছে, পাকিস্তান রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়েছে, বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটেছে। রাষ্ট্র, সমাজ, শিল্প ও বাণিজ্য ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির চরম উৎকর্ষ সাধিত হয়েছে। ইসলামের অবদান বেড়েছে। মানুষের চিন্তাধারা ও দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যেও পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাটি, প্রাচীন ও এতিহ্য শিক্ষাক্রমকে বক্ষে ধারণ করে পাহাড়ের মত অবিচল হয়ে এখনো আপন স্থানে দাড়িয়ে আছে। মানসম্মত শিক্ষার পরিবর্তন ঘটেনি। ফলে যুগের পরিবর্তনের সাথে এর কার্যকারিতাও হারাচ্ছে। এখান থেকে যারা শিক্ষা লাভ করে কর্মজীবনে আসছে, তারা মসজিদের ইমামতি, মাদ্রাসার শিক্ষকতা, স্কুলের ধর্ম বিষয়ের শিক্ষক ছাড়া তেমন সফলতা লাভ করতে পারছেনা। এবং সমাজে তারা সঠিকভাবে মর্যাদাবান হতে পারছেনা। ধর্মীয় কারণে কিছুটা ভক্তি শ্রদ্ধা তারা লাভ করেনও বটে।

কিন্তু রাষ্ট্রীয়, প্রশাসনিক ও সামাজিক পদমর্যাদায় তারা অধিষ্ঠিত হতে পারছেনা। ফলে সমাজে তাদের ছোট হয়ে থাকতে হয়। ইসলামিক চিন্তাবিদরা আরও অভিব্যক্ত করে বলেন- যে সকল ত্রুটি বিচ্যুতি গুলো দ্বারা জর্জরিত মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা। তা হলো; শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচী যুগের চাহিদা অনুপূরক নয়। এখানে যুগোপযোগী রাষ্ট্র বিজ্ঞান, অর্থনীতি, সমাজ বিজ্ঞান, প্রাকৃতিক বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, বাণিজ্যনীতি, পররাষ্ট্রনীতি, আইন ও বিচারনীতি, কৃষি ও কারিগরি শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ নেই। প্রাচীন ফিকহ শাস্ত্রের উপর অত্যধিক গুরুত্বারোপ করা হয়, স্বাধীন চিন্তা, গবেষণা ও ইজতিহাদের দরজা সম্পূর্ণ বন্ধ। পবিত্র কুরআনের প্রাচীন তাফসীরই পড়ানো হয়, তাও আবার অসম্পূর্ণ। কুরআনের উপর গবেষণাধর্মী পড়ালেখার ব্যবস্থাও নেই। হাদিস শাস্ত্রের একই অবস্থা। হাদিস নির্ণয়ের রিসার্চ সেন্টার নেই। ইসলামকে পূর্ণাংগ জীবন দর্শন ও ব্যবস্থা হিসেবে শিক্ষাদান ও শিক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা এখানে নেই। ফলে ইসলামকে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে চালু করবার শিক্ষা ও কর্মপন্থা জানা যায়না। এখান থেকে সিভিল সার্ভিস,কূটনীতিক, শিল্প ও বাণিজ্য পরিচালনার যোগ্য লোক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, কৃষিবিদ ও রাষ্ট্র নায়ক তৈরি হয়না। ফলে এখান থেকে শিক্ষা লাভ করে যারা বের হচ্ছে তারা সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনার কোন পোস্টেই তাদের স্থান হয়না। এ শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে যেহেতু রাষ্ট্র ও সমাজের জন্যে দক্ষ জনশক্তি লাভ করা যায়না, সে কারণে মাদ্রাসা গুলো সরাসরি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা থেকেও বঞ্চিত। মাদ্রাসাগুলোতে যারা শিক্ষকতা করেন তারা তেমন পারদর্শী না। শিক্ষকদের অদক্ষতা ও কর্মহীনতার ফলে তারা ব্যাপকহারে ধর্মীয় বাহাছ বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছে। যার কারণে সারাদেশে ধর্মীয় কোন্দলের জাল বিস্তার করে আছে। এতে সর্বসাধারণের মনে ডামাডোল তৈরি হচ্ছে এমনটাই, কাদের কে তারা অনুসরণ করবে? প্রভৃতি।

সুতরাং দেশের সাধারণ, ইংরেজি মাধ্যম ও মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার উল্লেখিত মূখ্য সমস্যা গুলোর যদি একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান না হয়, নতুন প্রজন্ম কর্মদক্ষতা, একতা ও সংহতি হারাবে। ফলে শিক্ষিত বেকার আর মানসিক দ্বন্দ্ব আরও বেড়ে যাবে। যা একদিন দেশে উদ্ভূত কুফল বয়ে আনার দৈবঘটনা হতে পারে। অতএব, সরকারের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আর গ্রহণযোগ্য আলোচনার মাধ্যমে এর একটা টেকসই সমাধান করে এদেশের সব ধরণের শিক্ষা ব্যবস্থাকে সুস্থতা দান করা শুধু সময়ের ব্যাপার বটে।

লেখক, শিক্ষার্থী-জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ,পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভারসিটি, চট্টগ্রাম।