আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীন তিব্বতে তাদের ব্রহ্মপুত্র নদের অংশে একটি প্রধান জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করার ঘোষণা দিয়েছে। দেশটির ১৪তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় এর জন্য একটি প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। আগামী বছর থেকে চীনের সবচেয়ে বৃহৎ এই বাঁধ প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
রবিবার চীনের বিদ্যুৎ নির্মাণ কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ইয়ান ঝিয়ং বলেছেন, “চীন ইয়ারলুং জাংবো (ব্রহ্মপুত্রের জন্য তিব্বতী নাম) নদের নিচের দিকে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।” দেশটির পানি সম্পদ এবং অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা বজায় রাখতে এটি নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তাঁর মতে, ইতিহাসে এর সমকক্ষ কোনো প্রকল্প নেই, এটি চীনের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ইতিহাসে এক অনন্য নজির। ইয়ান বলেন, “এটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের চেয়েও বেশি কিছু। এটি পরিবেশের জন্য, জাতীয় নিরাপত্তা, জ্বালানি ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার লক্ষ্যে তৈরি হচ্ছে। ”
এনডিটিভি জানিয়েছে, ভারতের অরুণাচল সীমান্তের কাছে তিব্বতের মেডগ কাউন্টিতে ব্রহ্মপুত্রের ওপরে এই বাঁধ নির্মাণ করা হবে। তিব্বতে উৎসস্থল সীমান্ত পেরিয়ে ইয়ারল্যাং জ্যাংবো ভারতের অরুণাচল হয়ে অসমে প্রবেশ করে ব্রহ্মপুত্র নামে এটি ফের সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
ইয়ানের তথ্যমতে প্রস্তাবিত বাঁধ প্রকল্প বছরে ৬ কোটি কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হবে যা বাৎসরিক ৩০০ বিলিয়ন কিলোওয়াট কার্বনমুক্ত ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। জলবিদ্যুৎ স্টেশনটি থেকে বছরে ৩০০ কোটি ডলার আয় হবে।
এদিকে ব্রহ্মপুত্রে চীনের বাঁধ নির্মাণের ঘোষণায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এ নিয়ে তুমুল আলোচনা সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। এনডিটিভি থেকে দাবী করা হয়েছে, ব্রহ্মপুত্রের উপর বাঁধের প্রস্তাব ভারত ও বাংলাদেশে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে নিচু এলাকার দেশগুলোর জল ও নদী সম্পর্কিত স্বার্থ এই বাঁধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে মত দিয়েছেন ভারতের বিভিন্ন নীতি-নির্ধারকেরা।