রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

গণতন্ত্রকে ভেঙে ফেলার আয়োজন চলছে : মির্জা ফখরুল

প্রকাশিতঃ ৫ ডিসেম্বর ২০২০ | ৪:৫৪ অপরাহ্ন


ঢাকা : গণতন্ত্র আজও নামে-বেনামে একদলীয় ফ্যাসিবাদের আক্রমণে আক্রান্ত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী ও নিরংকুশ করার জন্য আজ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে ফেলার আয়োজন চলছে। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে তাদের সে আয়োজন নস্যাৎ করে দিতে হবে।

আগামীকাল ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচার পতন দিবস উপলক্ষে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বারবার অপশক্তিগুলো গণতন্ত্রকে বিপর্যস্ত করে আমাদের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে চেয়েছে। কিন্তু এদেশের দেশপ্রেমিক জনগণ সে অপচেষ্টাকে শক্ত হাতে প্রতিহত করেছে সবসময়।’

‘আমাদের গণতন্ত্র বারবার হোঁচট খেয়েছে তার অগ্রযাত্রায়। কিন্তু এদেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ সকল বাধাকে অতিক্রম করে গণতন্ত্রের পথচলাকে নির্বিঘ্ন করেছে। শত শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্র এখনো শৃঙ্খলমুক্ত মুক্ত নয়। নিষ্ঠুর কর্তৃত্ববাদী একদলীয় শাসনের চরিত্রগুলো ক্রমশ ফুটে উঠছে বর্তমান শাসক গোষ্ঠীর আচরণে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দীর্ঘ নয় বছরের স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র গণআন্দোলনে আত্মহুতি দানকারী বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি।’

তিনি বলেন, ‘১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচার পতনের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছিল আবারও বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা। শুরু হয় সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা। এই দিনে গণতন্ত্রের দুশমনেরা পরাজিত হলেও আজও তারা চুপ করে বসে নেই। তাই সেই নিরবচ্ছিন্ন আন্দোলনের অটল ও আপোষহীন নেত্রী বেগম জিয়াকে পরাজিত শত্রুরা চক্রান্তমূলকভাবে অন্তরীণ করে রেখেছে। আমাদের চলমান সংগ্রামের এখন মূল লক্ষ্য গণতন্ত্র ও দেশনেত্রীর মুক্তির আন্দোলনকে বেগবান করা।’