মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভাইয়ের বিজয় নিয়ে যা বললেন ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিতঃ ১৬ জানুয়ারী ২০২১ | ৭:৪৪ অপরাহ্ন


ঢাকা : সরকারি দলের বিভিন্ন নেতার বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে আবারো বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। ভাইয়ের এই বিজয়কে বিএনপির মিথ্যাচারের জবাব হিসেবে দেখছেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক। এজন্য বসুরহাটের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার বিকালে নিজের সরকারি বাসভবন থেকে দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচনপরবর্তী তাৎক্ষণিক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

সুষ্ঠু ভোটের দাবিতে সোচ্ছার আবদুল কাদের মির্জা ১০ হাজার ৭৩৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিন্দ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থীর চেয়ে তিনি এগিয়ে রয়েছেন আট হাজার ৯৬০ ভোটে। বিএনপি প্রার্থী পেয়েছেন এক হাজার ৭৭৮ ভোট।

নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে গণমাধ্যম এবং রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আগ্রহ ছিল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সেখানেও অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিএনপির প্রার্থীরা ভোটের পরিবেশ ও ভোটাধিকার প্রয়োগ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও তাদের কেন্দ্রীয় নেতারা শুধু সমালোচনার জন্য সমালোচনা করছেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।’

ওবায়দুল কাদের দাবি করেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটারদের ব্যাপক অংশগ্রহণ ও উৎসব আমেজে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে নির্বাচন নিয়ে যারা মিথ্যাচার করে, তার জবাব দিয়েছে জনগণ। স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ভোটারদের এবং নির্বাচন কমিশনকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনে জয় পরাজয় থাকবে, তবুও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সব প্রার্থীকে ধন্যবাদ জানাই।’

ভোটারদের ব্যাপক অংশগ্রহণ ও ভোটাধিকার প্রয়োগ ইভিএমে ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তাই প্রমাণ বলেও দাবি করেন ওবায়দুল কাদের।

বিএনপি উদ্দেশ্যমূলক বিরোধিতা করলেও দেশের জণগণ অত্যন্ত সাবলিলভাবে ইভিএমে ভোট প্রদান করছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে জনগণ ইতিমধ্যে অভ্যস্ত হয়ে উঠলেও বিএনপির মানসিকতা এখনো এনালগ রয়ে গেছে। তাই তারা এ পদ্ধতির বিরোধিতা করে। বিএনপি মুখে স্বচ্ছতার কথা বললেও প্রকৃতপক্ষে প্রযুক্তিবিমুখ এবং পিছিয়ে পড়া ধ্যাণ-ধারণা আঁকড়ে ধরে বসে থাকতে চায়।’