একুশে প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৪১ টি ওয়ার্ডকে পলিথিনমুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ২১ নং জামালখান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন।
পরিবেশ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির প্রথম সভায় পলিথিনমুক্ত চট্টগ্রাম গড়ার কনসেপ্টটি উত্থাপন করে শীঘ্রই এর কাজ শুরু করার কথাও জানান এ কাউন্সিলর।
রোববার (২৫ এপ্রিল) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাধারণ সভায় পরিবেশ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর একুশে পত্রিকার সাথে এক ফোনালাপে এ কথা জানান তিনি। আগের মেয়াদে তিনি বর্জ্য ব্যবস্থপনা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন। এসময় পশু কোরবানিসহ বিশেষ দিনগুলোতে নগরীর বর্জ্য অপাসরণে ত্বরিৎ পদক্ষেপ গ্রহণসহ নগরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করেন তিনি।
নতুন দায়িত্ব পেয়ে শৈবাল দাশ সুমন বলেন, ‘পরিবেশ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির দায়িত্ব পাওয়ার পর যে চিন্তাটা প্রথম মাথায় এসেছে, সেটা হলো চট্টগ্রামকে কীভাবে পলিথিনমুক্ত করা যায়। পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সাথেও এ বিষয়ে আলোচনায় বসবো। তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা প্রয়োজন হবে নগরবাসীর। নগরবাসীর সহযোগিতা পেলে চট্টগ্রাম নগর হবে পলিথিন মুক্ত- একথা আমি দৃঢ়ভাবে বলতে পারি।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশের বাজারে যেসব পলিথিন পাওয়া যায় এগুলো ধ্বংস করা হয় না। যার কারণে এসব পলিথিনের ঠিকানা হয় রাস্তাঘাট ও নালা-নর্দমা। আর নালা-নর্দমা পেরিয়ে নগরবাসীর ব্যবহৃত পলিথিনের চূড়ান্ত ঠিকানা হয় কর্ণফুলী নদীর তলদেশ। বন্দরের ড্রেজিং প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ৫৩ শতাংশ পলিথিনের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সর্বগ্রাসী পলিথিনের যত্রতত্র ব্যবহার এভাবেই ভয়াবহতা ডেকে আনছে আমাদের যাপিত জীবনে। তাই পরিবেশবিধ্বংসী পলিথিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা এখন সময়ের দাবি। আমি নগরবাসীকে নিয়ে সেই পথেই হাঁটতে চাই। – বলেন শৈবাল দাশ সুমন।
পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পাট ও কাপড়ের তৈরি ব্যাগ ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করে চসিক’র পরিবেশ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির নতুন সভাপতি শৈবাল দাশ সুমন বলেন, পাট ও কাপড়ের ব্যাগ পঁচনশীল। তাই এগুলোর ব্যবহারে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হয় না। নগরবাসীকে পাট ও কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহারে কীভাবে অভ্যস্ত করা যায় সে বিষয়টিও ভাবছেন বলে জানান তিনি।
একুশে/জেআইএস/এটি