শান্তনু চৌধুরী : কলকাতার ব্যান্ড চন্দ্রবিন্দুর একটি বেশ জনপ্রিয় গান ত্বকের যত্ন নিন। সেখানে শুরুতে বলা হয়েছে, ‘কুচি-কুচি করে কেটে শসা, ব্যাসন দুধেতে নিন গুলে/ফিরে যাবে চামড়ার দশা, রাত্রে লাগিয়ে গালে শুলে’।
এমন নানা উপায়ে ত্বক সুন্দর রাখার কথা বলা হয়েছে। সত্যিইতো নিজেকে সুন্দর রাখতে সবার কতো না প্রচেষ্টা! বিশেষ করে নারীরা। সৌন্দর্য ঠিক রাখতে নারীরা অনেক কিছুই করেন। শারীরিক কসরত, নিয়মিত ডায়েট, পার্লারে যাওয়াসহ কতকিছু! নিজের সৌন্দর্য ধরে রাখতে কুকুরের মূত্রপান করার কথা কি কখনো শুনছেন?
কিন্তু এই কাজটিই নিয়মিত করে আসছেন এক মার্কিন তরুণী। ত্বক ঠিক রাখতে কুকুরের মূত্রকে প্রিয় পথ্য মনে করেন লিনা নামের এই তরুণী। এতে নাকি তার স্বাস্থ্য ভালো থাকে। তার মতে, অনেকেই তার সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে যান। ত্বকের রহস্য জানতে চান। কিন্তু যখনই রহস্য প্রকাশ করেন সবাই নাক সিঁটকাতে থাকেন।
ভারতে অনেকে যেমন নানা রোগ থেকে বাঁচতে গোমূত্র পান করে থাকেন। আবার কুড়িতেই বুড়ি এ ধারণাকে ভুল প্রমাণ করেছেন জাপানের তাকিশিমা মিকা। বয়স তার কাছে শুধুই একটি সংখ্যা। তাই তো ৯০ বছর বয়সেও তিনি একটি জিমের ফিটনেস ইনস্ট্রাকটর। এই বয়সেও নিয়মিত শারীরিক কসরত করছেন তাকিশিমা মিকা। তার শারীরিক গড়নও ঠিক রেখেছেন। জাপানের সবচেয়ে বয়স্ক ফিটনেস ইনস্ট্রাকটর তিনি। সদা হাস্যোজ্জল এই নারী সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছেন। কিন্তু শুরু থেকেই তাকিশিয়া মিকা ফিটনেসের প্রতি যশীল ছিলেন তা কিন্তু নয়। তার বয়স যখন ষাটের কোঠায় তখন তিনি ফিটনেস সচেতন হয়ে ওঠেন। অবশ্য এর পেছনে কারণও রয়েছে। পুরোদস্তুর গৃহিণী তাকিশিমা মিকার বয়স যখন ৬৫, তখন তার ওজন বেড়ে যায়। এ নিয়ে তার স্বামী নানা কটু কথা শোনাতেন। এরপর জিমে যাওয়া শুরু করেন। সেই থেকেই শুরু।
এদিকে, আজব রয়েছে ইউরোপীয়দের। ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদন বলছে, ইউরোপের ফর্সা চামড়ার মানুষেরা চায় শ্যামলা হতে, আর আমাদের দেশের মানুষেরা চায় ঠিক উলটো। গ্রীষ্মে ইউরোপের সমুদ্র সৈকতগুলোতে বিকিনি পড়া তরুণীদের ভিড় জমে যায়। অনেকে দিব্যি বিবসনা হয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা শুয়ে, বসে থাকেন প্রখর সূর্যের নিচে। উদ্দেশ্য ধবধবে ফর্সা গায়ের রঙটা খানিকটা তামাটে, শ্যামলা করে নেওয়া। ওতে নাকি তাদের আরো যৌন আবেদনময়ী, সুন্দরী মনে হয়। সমুদ্রের পাড়ে, লেকের পাড়ে একটু রোদ পড়লেই হলো, সেখানে দিব্যি বিকিনির উপরের অংশ খুলে শুয়ে পড়ছে তারা। রঙটা সর্বত্র তামাটে হোক, সেটাই ইচ্ছা।
শুধু সূর্যস্নান নয়, যখন সূর্যের তেজ কম থাকে, তখন তারা চলে যায় সোলারিয়ামে। বিশেষ ধরনের এক বেডে শুয়ে থাকেন, উদ্দেশ্য সেই একই। গায়ের রঙটা তামাটে মানে একটু শ্যামলা, মসৃণ করে তোলা। আর এই কাজ করতে গিয়ে চামড়ার অনেক ক্ষতিও করে ফেলে তারা। বাড়াবাড়ি রকম সূর্যস্থান আর সোলারিয়াম অনেকের চামড়া অল্প বয়সেই বুড়ো করে দেয়। চামড়ার বিভিন্ন রোগ, এমনকি ক্যানসারও হতে পারে এসবের ফলে। কিন্তু নিজেকে আরো আবেদনময়ী করে তুলতে সেসব আমলে নেয় না অনেক তন্বী।
অথচ আমাদের দেশের পরিস্থিতিটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। স্বেচ্ছায় বলুন, আর সমাজের চাপে অনেক শ্যামলা বা তথাকথিত ‘কালো’ গায়ের রঙয়ের মেয়েরা এমনকি এখন ছেলেরাও চায় রঙ ফর্সা করতে। এজন্য নানারকম সাবান, ক্রিমতো আছেই, পাশাপাশি মুখে মাটি থেকে শুরু করে দই, শাকসবজি সবই ঘষে তারা। অনেকে আবার প্রখর সূর্যের আলোতে বাইরেও বের হয় না, পাছে আরো কালো হয়ে যায়, সেই ভয়ে।
কুমারীত্ব বিক্রির ঘোষণা দিয়ে জার্মানিতে হইচই ফেলে দিয়েছেন শিক্ষার্থী কিম। খরচ চালানোর পাশাপাশি একটি ফ্ল্যাট ও গাড়ি কেনার স্বপ্ন দেখছেন জার্মানির ১৮ বছর বয়সী এই শিক্ষার্থী। আর তা একসঙ্গে বাস্তবায়নে নিজের কুমারীত্ব বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য সানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিম নামের ওই তরুণী জার্মানির সিনড্রেলা এসকর্ট নামে একটি অনলাইন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিজের কুমারীত্ব নিলামে তোলার ঘোষণা নিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি সিনড্রেলা এসকর্টের অনলাইনে নিজের ছবি পোস্ট করে এই ঘোষণা দিয়েছেন কিম। নিলামে নিজের কুমারীত্বের প্রাথমিক দর রেখেছেন প্রায় ৯০ লাখ ৪৩ হাজার ৩২৯ টাকা (৮৬ হাজার ৬৪০ ব্রিটিশ পাউন্ড)। তবে কুমারীত্ব বিক্রি হলে, এই অর্থের ২০ শতাংশ পাবে সিনড্রেলা এসকর্ট।
অনলাইন প্রতিষ্ঠান সিনড্রেলা এসকর্ট বলেছে, কিম আগে কারও সঙ্গে যৌন সংসর্গ করেননি। কুমারীত্ব পরীক্ষা করে চিকিৎসকের এ সংক্রান্ত সনদও নিলামে দেওয়া হবে। জার্মানির স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি লম্বা কিম সিনড্রেলা এসকর্টের অনলাইনে নিজের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আমি কিম। আমি আমার কুমারীত্ব বিক্রি করতে চাই। আমি জার্মানি বা ভিয়েনার কোথাও পড়াশোনা করতে চাই। কুমারীত্ব বিক্রির অর্থ দিয়ে আমি পড়াশোনার খরচ দেওয়ার পাশাপাশি একটি ফ্ল্যাট ও গাড়ি কিনতে চাই’। কিম বলেছেন, নিলামে যে ব্যক্তি তাঁর কুমারীত্বের সর্বোচ্চ দর হাঁকবেন, পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাককু না কেন তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন কিম।
এর আগে ঘোষণা দিয়ে নিজের কুমারীত্ব বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রোমানিয়ার ১৮ বছর বয়সী মডেল আলেজান্দ্রা খেফরেন। ঋণগ্রস্ত মা-বাবার বন্ধকি বাড়ি বাঁচাতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার খরচ জোগাতে গত বছরের শেষের দিকে নিজের কুমারীত্ব বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সিনড্রেলা এসকর্টের মাধ্যমে নিজের কুমারীত্ব নিলামে তুলেছিলেন তিনি। সেখানে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হংকংয়ের এক ব্যবসায়ী সর্বোচ্চ দর ২০ লাখ ডলার (প্রায় ১৬ কোটি ১২ লাখ টাকা) হেঁকে আলেজান্দ্রা খেফরেনের কুমারীত্ব কিনে নেন। আমরা হয়তো বিষয়টা মজার ছলে লিখছি, কিন্তু কতোটা অসহায় হলে বা জীবনের প্রয়োজন হলে কেউ এই কাজটি করতে পারে সেটাও ভাবার বিষয়! তেমনি ভাবার বিষয় নিচে দেওয়া এই ঘটনা দুটোও।
তথ্যপ্রযুক্তির যুগে বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়। সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমের কল্যাণে নানা প্রান্তের খবর মুহূর্তেই পাচ্ছি। গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের পাশাপাশি অনেক অদ্ভুত খবরও আমাদের চোখে পড়ে। সম্প্রতি এমনি একটি অদ্ভুত খবরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে বলা হয়, এক ব্যক্তি ৩৭তম বারের মতো বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। সবচেয়ে মজার বিষয়, বৃদ্ধের বরযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন তার ২৮ স্ত্রী, ৩৫ সন্তান ও ১২৬ নাতি-নাতনি।
আরেকটি এমন, দুই নারীর সঙ্গেই ছিল প্রেম। বিয়েও হলো একই ম-পে, একই সময়ে। ঘটনাটি ভারতের তেলেঙ্গানার আদিলাবাদ জেলার। অর্জুন নামের নৃ-গোষ্ঠীর একজন যুবক দুই বছর তার দুই খালাতো বোনের সঙ্গে প্রেম করেছেন। সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হলে পরিবারের সম্মতিতে একই ম-পে তাদের বিয়ে হয়। নিজ সম্প্রদায়ের রীতি মেনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে বলে সংবাদসূত্রে জানা গেছে।
শান্তনু চৌধুরী সাংবাদিক ও সাহিত্যিক