করোনাকালে অনেকেই তাঁদের বাবাকে হারিয়েছেন। সব বাবাই সন্তানদের হৃদয়ে বিশেষ জায়গায় থাকেন। ২০২১ সালে আজকের দিনে হারিয়ে যাওয়া এক বাবা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা নুরুল ইসলামকে নিয়ে লিখেছেন তাঁর সন্তান দৈনিক যুগান্তরের চট্টগ্রাম ব্যুরোর সিনিয়র রিপোর্টার মিজানুল ইসলাম।
বাবা শুধু একজন মানুষ বা সত্তা নন— যেন পুরো একটা পৃথিবী। তিনি কোন সম্পর্ক বা বন্ধনের নামও নন, আসলে অস্তিত্বের পরিপূরক।
বাবা নেই— এমন চিন্তা আমার মাথায় কখনও আসে না, আসতে দিই না। তিনি কাছে নেই— এটা আমি এখনও বিশ্বাস করি না। বিশ্বাস করতেও চাই না।
চলার পথে আমি সবসময়ই অনুভব করি, তিনি বরাবরের মতোই পাশে আছেন ভরসা হয়ে। তবু বাস্তবতা কখনও কখনও হয়ে ওঠে কঠিন সত্য। তখন আনমনে ভিজে যায় চোখ। গাল গড়িয়ে তপ্ত জলে ভাসে বুক।
বাবা নামের বিশাল আকাশটা যে হঠাৎ শূন্য হয়ে যাবে— এমন ভাবনাটাই ছিল আমার কাছে অকল্পনীয়।
দেখতে দেখতে বাবা ছাড়া কেটে গেল একটি বছর। ২০২১ সালের আজকের এই দিনে আমাদের ছেড়ে বাবা চলে গেছেন না ফেরার দেশে।
তবে অশরীরী বাবার বসবাস আমাদের অস্তিত্ব জুড়ে। আমাদের সমস্ত কাজে, অনুপ্রেরণায় ও আদর্শে। এভাবেই বেঁচে থাকবেন বাবা ভাবনার আকাশে উজ্জ্বল তারা হয়ে।
বাবা এমন এক বটবৃক্ষের ছায়া— যে ছায়া পৃথিবীর সমস্ত উত্তাপ থেকে দূরে রাখে। বাবারা কতোটা কষ্ট সয়ে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সামলে নেন নিজেকে, তা শুধু পিতৃহীন মানুষই বুঝতে পারে। কতটা ত্যাগ স্বীকার করে বাবারা আগলে রাখেন সন্তানদের— বাবার অবর্তমানেই শুধু সেটা বুঝে সন্তানরা।
বাবা, আজ তুমি নাগালে নেই— আছো অনেক দূরে। তাই চাইলেই পারি না সুখ-দুঃখের কথা অবলীলায় তোমাকে বলতে। চাইলেই পারি না ছুঁয়ে দিতে, জড়িয়ে চুমু খেতে। তোমাকে ভালোবাসি বাবা। তোমার প্রতি অবনত শ্রদ্ধা, অবিরাম ভালোবাসা। যেখানেই থাকো, ভালো থেকো…।