‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এখন যে পথে হাঁটছে তা অনেক বেশি বৈচিত্র‍্যময় ও ব্যতিক্রম’

একুশে প্রতিবেদক : গত বছরের মার্চে আমরা যখন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নিই, তখন সেই মাসের বেতন দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়েছে। আর এখন এক বছরের বেতনের টাকা আমাদের জমা আছে। আইআইইউসিতে অর্থনৈতিকভাবে যে সমস্যা আমাদের ছিল। আমাদের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট, ফ্যাকাল্টির ওপর যে রেডমার্ক ছিল এখন সব সমাধান হয়ে গেছে। এখন আইআইইউসি খুব ভালোভাবে চলছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান হয়েছি। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং ইসলামাইজেশন মিলে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে চূড়ার দিকে নিয়ে যেতে।

আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) এর উদ্যোগে চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের (বিওটি) চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম-১৫ সাতকানিয়া লোহাগাড়া আসনের সাংসদ প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী।

সোমবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে নগরীর চট্টগ্রাম ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

প্রফেসর ড. আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন এমপি বলেন, আমাদের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যাকাডেমিকভাবে আমেরিকা আরবদেশসহ সবার সাথে পূনরায় যোগাযোগ করা হচ্ছে, চুক্তি হচ্ছে; যাতে আমাদের স্টুডেন্টরা সব জায়গায় যেতে পারে। আমাদের অর্থনৈতিক যে সমস্যা ছিল এগুলো ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, আমাদের ফান্ড আসা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে আমাদের কয়েকটা ভবণের ভিত্তি প্রস্তর শুরু হয়েছে। বহাদ্দারহাট ক্যাম্পাসে কুয়েতের অর্থমন্ত্রণালয় থেকে একটা ১৫ তলা ভবনের জন্য কিছু টাকা পেয়েছি, বাকি টাকাও এসে যাবে; যেখানে এক হাজার স্টুডেন্ট থাকবে। এরপর ফ্রান্সের একটা অর্গানাইজেশন উদ্যোগে আমাদের একটি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর হয়েছে, এটার কাজও শুরু হয়ে যাবে। আরেকটা ভবন, ফিমেইল ক্যাম্পাসে শুরু হয়ে গেছে। রমজানের ভেতর বা রমজানের পরে বিশাল আরেকটা কম্পিউটার ল্যাবেরর কাজ শুরু হবে। আমাদের আগের যে প্রশাসন ছিলো তারা অনেক টাকা এখান থেকে দুর্নীতি করেছে। এবং পাচার করেছে সেটার জন্য মামলা হয়েছে। আমরা মামলাও করেছি।

সভাপতির বক্তব্যে আইআইইউসি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ও প্রেস, পাবলিকেশন এন্ড এ্যাডভার্টাইজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খালেদ মাহমুদ বলেন, আজকে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় যে পথে হাঁটছে সেটা অতীতে যে-কোনো সময়ের তুলনায় অনেক ব্যতিক্রম, অনেক বৈচিত্র্যময়, অনেক আধুনিক এবং অনেক যুগোপযোগী বলে আমি মনে করি। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে পরিবেশ থাকার কথা, যেটা আগে ছিল না এখন সেটা বিরাজমান আছে। আগে যেটা জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসবাদ, অগ্নিসন্ত্রাসের অভয়ারণ্য ছিল আজকে সেটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে একটা পরিপূর্ণ শিক্ষার আলোয় আলোকিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ভূমিকা রাখছে; যেটা আমাদের দেশ-জাতির জন্য, সর্বোপরি আমাদের চট্টগ্রামবাসীর জন্য একটা গর্ব।

তিনি বলেন, আজকে ১২ হাজার স্টুডেন্টের পদচারণা এই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা যেভাবে একটি রেল স্টেশন দেখে আসছি যুগযুগ ধরে তেমনি একটি রেল স্টেশন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কুমিরা ক্যাম্পাসে হতে যাচ্ছে।

ওয়েলফেয়ার চট্টগ্রাম ডিভিশনের অতিরিক্ত পরিচালক মুহাম্মদ মাহফুজুর রহমানের সঞ্চলনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বিওটি’র ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী দীন মোহাম্মদ, বিওটি সদস্য ও ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান ড. ইঞ্জিনিয়ার রশীদ আহমদ চৌধুরী, বিওটি সদস্য প্রফেসর মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন নিজামী, প্রফেসর ড. ফসিউল আলম, মিসেস রিজিয়া রেজা চৌধুরী, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ সালেহ জহুর, মিয়া মুহাম্মদ ইসমাঈল মানিক, প্রফেসর আবদুর রহিম, মুহাম্মদ বদিউল আলম, আইআইইউসি’র প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মছরুরুল মওলা, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির, রেজিষ্ট্রার অধ্যাপক শফিউর রহমান, বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জিএম মাহফুজা আকতার, চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক জসিম চৌধুরী সবুজ, ডেইজি মওদুদ, কলিম সরওয়ার, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মুহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক ম শামসুল ইসলাম, কালের কণ্ঠের ব্যুরো প্রধান মুস্তফা নঈম, একুশে পত্রিকার সম্পাদক আজাদ তালুকদার, যুগান্তরের ব্যুরো প্রধান শহীদুল্লাহ শহরিয়ার, হাসান ফেরদৌস, উত্তর জেলা মহিলা লীগের সভাপতি দিলুয়ারা ইউসুফ, ইডেন ইংলিশ স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মাহনুর তাসনিম প্রমুখ।