‘মানবিক’ যুবলীগের পদ পেতে ‘অমানবিকদের’ দৌড়ঝাঁপ


জোবায়েদ ইবনে শাহাদাত : সাম্প্রতিক সময়ে মানবিক সংগঠন হিসেবে পরিচিতি পাওয়া আওয়ামী যুবলীগের চট্টগ্রাম মহানগরের নতুন কমিটিতে পদ পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন ‘অমানবিক’ হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিরা। হত্যা মামলার আসামি, পুলিশের তালিকাভুক্ত কিশোর গ্যাং লিডার হিসেবে অভিযুক্তরাও যুবলীগের নেতৃত্বের দৌড়ে যুক্ত হয়েছেন। মহানগরের নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আসতে তারা এখন বেশ তৎপর।

সবশেষ ২০১৩ সালে মহিউদ্দিন বাচ্চুকে আহ্বায়ক এবং দেলোয়ার হোসেন খোকা, দিদারুল আলম, ফরিদ মাহমুদ ও মাহবুবুল হক সুমনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে তিন মাসের জন্য ১০১ সদস্যের মহানগর যুবলীগের কমিটি করা হয়েছিল। এরপর পেরিয়ে গেছে ৯ বছর। নতুন কমিটি হয়নি।

এ প্রেক্ষিতে আগামী ৩০ মে চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সম্মেলন আয়োজনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে; সম্মেলনের মাধ্যমে মহানগর যুবলীগের নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হবে। নির্বাচিত নেতারা পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের দায়িত্ব পাবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

ইতিমধ্যে মহানগরে সভাপতি পদে ৩৫ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৭৩ জন জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে একাধিক মামলার আসামি, তালিকাভুক্ত কিশোর গ্যাং লিডার, চাঁদাবাজ হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিরা রয়েছেন। কারও কারও বিরুদ্ধে জায়গা দখলসহ বহু অভিযোগ রয়েছে। যুবলীগের পদ পেতে বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্তদের তোড়জোড় দেখে স্বচ্ছ ইমেজের প্রার্থীরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

বিতর্কিতদের মধ্যে আছেন- কিশোর গ্যাং লিডার হিসেবে পরিচিত নূর মোস্তফা টিনু, সিআরবিতে জোড়া খুনের অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি সাইফুল আলম লিমন, হত্যা মামলার আসামি আলমগীর টিপু ও বিস্ফোরক মামলার আসামি ফজলে রাব্বি সুজনসহ আরও বেশ কয়েকজন।

মহানগর যুবলীগের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন নূর মোস্তফা টিনু। ২০০১ সালে নগরীর গোলপাহাড় এলাকায় অত্যাধুনিক একে-২২ রাইফেলসহ নগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর আলোচনায় আসেন টিনু। তার বিরুদ্ধে জমি দখল, চাঁদাবাজিসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কিশোর অপরাধী চক্রের (কিশোর গ্যাং) ৪৮ জন পৃষ্ঠপোষক বা নেতার তালিকা করে; সেই তালিকায় টিনুর নাম রয়েছে।

নগরের কাপাসগোলা এলাকার মৃত নুরনবীর ছেলে নুর মোস্তফার বিরুদ্ধে নগরের কোতোয়ালী, পাঁচলাইশ ও চকবাজার এলাকায় জমি দখল, ছিনতাই ও চাঁদাবাজির অভিযোগে অন্তত পাঁচটি মামলা রয়েছে। টিনুকে একটি পিস্তল, শটগান, ৭২টি গুলিসহ ২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর র‍্যাব গ্রেপ্তার করে।

র‍্যাব সে সময় দাবি করেছিল, টিনু নিজের ‘নিয়ন্ত্রণাধীন’ এলাকার ফুটপাত, কোচিং সেন্টার, শপিং মল ও টমটম গাড়ি থেকে সহযোগীদের মাধ্যমে মাসে ৫০ লাখ টাকা আদায় করতেন। র‍্যাবের অভিযোগ, চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ, চকবাজার, বাকলিয়া ও কালুরঘাট এলাকায় তাঁর আধিপত্য। নগর যুবলীগের কোনো পদে না থেকেও তিনি যুবলীগের নেতা বলে পরিচয় দিতেন। গ্রেপ্তারের পর র‍্যাব তার বিরুদ্ধে মামলা করে।

র‍্যাব ও পুলিশ সূত্র জানায়, টিনুর অনুসারীরা বাকলিয়া, বহদ্দারহাট, পাঁচলাইশ ও চকবাজার এলাকায় সক্রিয়। তারা ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত। তার দলের সদস্যদের বড় অংশ কিশোর–তরুণ। বাকলিয়ায় ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল এক স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করা নিয়ে কিশোরদের দুই পক্ষের মধ্যে ঝগড়া হয়। সেই ঝগড়া মেটাতে গিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী লোকমান নিহত হন টিনুর সহযোগী সাইফুল ইসলামের গুলিতে। অবশ্য দুই দিন পর পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ওই সাইফুলও নিহত হন।

২০২০ সালে কারাবন্দী থাকা অবস্থায় ভোটারবিহীন উপনির্বাচনে চট্টগ্রাম সিটির চকবাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন হন নূর মোস্তফা টিনু। তিনি ভোট পেয়েছিলেন ৭৮৯টি। এত কম ভোট পেয়ে এর আগে চট্টগ্রামের কোনো ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচিত হননি। এটাও প্রথম। চকবাজারের মোট ভোটারের মাত্র ২ দশমিক ৪৬ শতাংশ ভোট তিনি পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আবদুর রউফ মাত্র ১৬ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন। চকবাজার ওয়ার্ডের ওই উপনির্বাচনে সব কজন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন টিনু; একুশে পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘কাউন্সিলর নির্বাচনের সময়ও এই কথাগুলো উঠেছিল। কিন্তু আমার জয়ের মাধ্যমে সেসব মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। যুবলীগের সম্মেলনের আগেও আমার প্রতিপক্ষ সেসব কথা আবারও তুলছে। আমি কখনোই চাঁদাবাজির সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম না। এধরনের কোনো প্রমাণ দিতে পারে আমি স্বেচ্ছায় এলাকা ছেড়ে চলে যাবো। তবে অনেকসময় কারও সমস্যা সমাধান করায় কেউ আমাকে ১০, ২০, ৫০ হাজার টাকা হয়তো খুশি হয়ে দিয়েছে। কিন্তু হুমকি দিয়ে কখনো কারও কাছ থেকে ১ টাকা নিয়েছি এ কথা কেউ বলতে পারবে না।’

এদিকে, নগর যুবলীগের শীর্ষ পদ পাওয়ার দৌঁড়ে আছেন চাঁদাবাজি, কিশোর গ্যাংয়ের মদদদাতাসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সাইফুল আলম লিমন। ২০১৩ সালের ২৪ জুন নগরীর সিআরবিতে জোড়া খুনের ঘটনার দুই ঘন্টার মধ্যে লিমনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের প্রায় দেড় মাস পর ৪ আগস্ট জামিনে বেরিয়ে আসেন তিনি। আলোচিত এই হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত ২ নম্বর আসামি লিমন। হত্যা মামলার আসামি হওয়ার পর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কৃত হন লিমন। এ ঘটনায় কারাগারেও যেতে হয়েছে তাকে।

লিমনের বিরুদ্ধে রয়েছে রেলওয়ের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, বিভিন্ন নির্মাণাধীন ভবন থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ। মূলত সিআরবি, কদমতলী, আমবাগান, টাইগারপাস, আগ্রাবাদসহ নগরের বিভিন্ন এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে চাঁদাবাজির অভিযোগ আছে লিমনের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে সাইফুল আলম লিমনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। একপর্যায়ে এ প্রতিবেদকের ফোন কেটে দেন লিমন।

অন্যদিকে, নগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে মরিয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলমগীর টিপুও। ২০১৩ সালের ২৪ জুন বেলা পৌনে ১২টার দিকে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের দেড় কোটি টাকার টেন্ডারকে কেন্দ্র করে নগরীর সিআরবি এলাকার সাত রাস্তার মোড়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে শিশুসহ দু’জন নিহতের ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে টিপুসহ ৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর ওই বছরের ২৬ জুন আলমগীর টিপুসহ ৪৪ জনকে একদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। প্রায় দেড় মাস জেলহাজতে থাকার পর ওই বছরের ৪ আগস্ট টিপু জামিনে বেরিয়ে আসেন। যদিও পরে টিপুকে অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেয় পিবিআই। এছাড়া ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি টিপু। ওই মামলা সিআইডি এখনও তদন্ত করছে।

এর আগে বিভিন্ন নেতিবাচক ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কয়েক দফা বহিস্কারও হয়েছিলেন আলমগীর টিপু। ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে একই বছরের ৬ অক্টোবর আলমগীর টিপুকে ছয় মাসের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ।

বহিস্কৃত আলমগীর টিপুকে অর্থনীতি বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণীর পরীক্ষা দিতে না দেয়ায় ২০১৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি তার অনুসারীরা পরীক্ষার হলে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ এসে তালা ভাঙে এবং আলমগীরকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার অনুমতি দেয়া হয়।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে আলমগীর টিপুকে ছাত্রলীগ থেকে এক মাসের জন্য বহিস্কার করা হয়েছিল। এছাড়া বিভিন্ন ঘটনায় আলমগীর টিপু ছাত্রলীগ থেকে দু’বার, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দু’বার বহিস্কার হয়েছেন এবং দু’বার জেলে গেছেন। ২০১২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৫৬তম সিন্ডিকেট সভায় যৌন হয়রানিকে কেন্দ্র করে বহিষ্কার করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর টিপুকে।

এছাড়া টিপুর বিরুদ্ধে বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন নয়াহাট বাজার এলাকার দুই প্রবাসীর জমি দখলসহ চবি ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ছাত্রীর শ্লীলতাহানিসহ হরেক রকম অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আলমগীর টিপু একুশে পত্রিকাকে বলেন, ‘দিয়াজ হত্যা মামলায় তার এক মেয়ে বন্ধু আদালতে ১৭ পৃষ্ঠার জবানবন্দি দিয়েছেন, যেখানে দিয়াজের আত্মহত্যার কাহিনী তিনি উল্লেখ করেছেন। এরপর আসলে কিছুই বলার থাকে না। আর জমি দখলের যে অভিযোগটি আমার বিরুদ্ধে করা হয়েছে সেটা সম্পূর্ণভাবে হয়রানির জন্য। প্রতিপক্ষের কূটচালে আমি রাজনৈতিক হয়রানির শিকার হয়েছি। এছাড়া ছাত্রলীগ থেকে আমাকে কখনো এক দিনের জন্যও বহিষ্কার করা হয়নি। এই তথ্য ভিত্তিহীন।’

অপরদিকে, চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার বিস্ফোরক আইনের মামলার আসামি ফজলে রাব্বি সুজনও মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী। ২০১৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সুজনসহ ২৩ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করা হয়। এছাড়া ২০২১ সালের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারির ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় করা একটি মামলায় সাত নম্বর আসামি সুজন। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে টেন্ডারবাজ, মাদক কারবারি ও শিবিরের চিহ্নিত কর্মীদের ছাত্রলীগের পদ পেতে সুজন সহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ আছে।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে দুইজনের কাছ খেকে ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগও সুজনের বিরুদ্ধে। রয়েছে চবি’র বিভিন্ন কাজে শত কোটি টাকার ‘টেন্ডারবাজির’ অভিযোগও। নিজে কাজ পেতে ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে ভয়ভীতি দেখিয়ে দরপত্রের শিডিউল নিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে সুজনের বিরুদ্ধে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ফজলে রাব্বি সুজন একুশে পত্রিকাকে বলেন, ‘বিস্ফোরক আইনের মামলায় পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন ভিত্তিহীন এই মামলা করে। এবং এই মামলায় আমাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। আর দায়িত্বকালীন সময়ে আমি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সৎভাবে যুক্ত থাকলে কারও তো কিছু বলার নেই। এ ধরনের কোনো ঘটনায় প্রশাসনের কাছে আমার বিরুদ্ধে মামলা বা লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়নি। তাই কোনো অন্যায় কাজ করেছি বলে আমি মনে করি না।’

এদিকে বিতর্কিতদের বিষয়ে শক্ত অবস্থান নিয়েছে কেন্দ্র। খারাপ রেকর্ডের কারও যুবলীগের নেতৃত্বে আসার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাে. মাইনুল হােসেন খান নিখিল; একুশে পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘বিতর্কিতদের কোনো বিষয় আমাদের নজরে আসলে তারা যুবলীগের নেতৃত্বে আসতে পারবে না। বিতর্কিতদের নামগুলো আমাদের জানান। প্রয়োজনে আমাকে টেক্সট করুন। গণমাধ্যমের কাছে এই সহযোগিতা আমরা চাই। আর যারা সংগঠনের ভালো চায় তারাও আমাদের এ বিষয়ে জানাতে পারেন।’