চট্টগ্রাম : আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেছেন, ‘বাংলাদেশে ইসলামের যদি কোন খাদেম থাকেন তাহলে তিনি হচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি হলেন আল্লাহর একজন অলি। ইসলামের প্রেমিক। তা না হলে তার ডাকে সাড়ে সাত কোটি মানুষ কোনদিন আসতেন না। তিনি মাদ্রাসা বোর্ড করেছেন। ওআইসিতে বাংলাদেশের সদস্য পদ গ্রহণ করেছেন। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেন প্রতিষ্ঠা করেছেন।’
শনিবার (২৮ মে) বিকেলে পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন পরবর্তী প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ‘যুবলীগের কাজ হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে মানুষের কল্যাণে কাজ করা। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে কাজ করা। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আজ আমাদের চারপাশে অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকে পড়েছে। বিএনপি-জামায়াত ঢুকে পড়েছে। আমরা সকলে বক্তব্য দিই বিএনপি-জামায়াত আমাদের পতাকাতলে আসতে পারবে না। আমরা হাত তালি দিই। হাততালির অভাব নেই। কিন্তু বাস্তবে কোথায়? বাস্তবে আমাদের পাশে পাশে বসা বিপদগামী যুবক। মাদক সেবনকারী যুবক, চাঁদাবাজ যুবক। যারা সমাজকে অতিষ্ঠ করে তোলে। যারা শেখ হাসিনার সব অর্জনকে ধূলিসাৎ করে দেয়।’
প্রধানমন্ত্রী দিবারাত্রি পরিশ্রম করে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করছেন জানিয়ে নিখিল বলেন, ‘আর সেই নেত্রী যখন ঘোষণা দিলেন আমি তো এই পৃথিবীতে বেশি দিন থাকবো না। আমার দেশের হাল কে ধরবে। আমার যুবসমাজ, ছাত্রসমাজ মরণব্যাধি নেশা ইয়াবায় আসক্ত হয়ে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আর সেই মরণব্যাধি ইয়াবা থেকে যুবসমাজকে রক্ষার দায়িত্ব একেকজন সংসদ সদস্যের। আমি বিশ্বাস করি সংসদ সদস্যরা যদি ঘোষণা দেন আমার এলাকায় কোন মাদক কারবারি, মাদক সেবনকারী থাকতে পারবে না তাহলে আমি বিশ্বাস করি ওই অঞ্চলে মাদক থাকার কথা নয়।’
‘আমার মা আমাকে দশ মাস দশদিন গর্ভে ধারণ করেছেন। মায়ের বড় স্বপ্ন আমার ছেলে একদিন ডাক্তার হবে, ইঞ্জিনিয়ার হবে, কবি হবে, সাহিত্যিক হবে। আমার বাবা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে পয়সা উপার্জন করে বাবারা সন্তানের উপর কত স্বপ্ন দেখেন। আর যখন সন্তান মরণব্যাধি ইয়াবায় আসক্ত হয়ে ধ্বংস হয়ে যায় তখন একটি পরিবার নয়, একটি সমাজ নয়, একটি জাতি ধ্বংস হয়ে যায়। আর সেই জাতির সেই মায়ের স্বপ্ন রক্ষার জন্য শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন বাংলা থেকে মরণব্যাধি ইয়াবা নির্মূল করতে হবে।’
মাঈনুল হোসেন খান নিখিল আরও বলেন, ‘কোন বিপদগামী যুবক যুবলীগে আসতে পারবে না। বিপদগামী বলতে মাদকাসক্ত, চাঁদাবাজ, খুন-খারাবি করবে, মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলবে। সেই যুবক যুবলীগের পতাকাতলে আসতে পারবে না। একটা শুদ্ধি অভিযান থেকে পরশ-নিখিলের নেতৃত্ব। সেই শুদ্ধি অভিযান হয়েছিল, সেই অভিযান ছিলো ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে, কমিটি বাণিজ্যের বিরুদ্ধে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরশের পবিত্র হাত, মাইনুলের পবিত্র হাতে ওই কমিটি বাণিজ্য যারা করবে তাদের নাম কলমে আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি না। যারা চাঁদাবাজি করবে, মাস্তানি করবে, যারা সমাজকে অতিষ্ঠ করে তুলবে তাদের নাম আমাদের এই পবিত্র হাত দিয়ে কাগজে আসবে না। একজন সৎ মানুষের শক্তি থাকে আকাশ সমান, আরেকজন অসৎ মানুষকে অজানা ভয় সবসময় তাড়া করে বেড়ায়।