বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাজীবুল আহসান সুমনের গাড়িবহরে এমপি মিতার ইন্ধনে হামলার অভিযোগ

প্রকাশিতঃ ১৯ অগাস্ট ২০২২ | ১২:১৭ পূর্বাহ্ন

চট্টগ্রাম : সন্দ্বীপে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা যুবলীগ সভাপতি প্রার্থী রাজিবুল আহসান সুমন আয়োজিত বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ কর্মসূচির প্যান্ডেল ভাংচুর এবং গাড়ি বহরে হামলার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সাংসদ মাহফুজুর রহমান মিতার মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীবাহিনী এই হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন রাজীবুল আহসান সুমন।

অভিযোগে জানা যায়, রাজিবুল আহসান সুমন জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সাথে সমন্বয় রেখে আগস্ট মাসে ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় স্থানীয় মুছাপুর জেবেন্নুর সুলতান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ কর্মসূচি আয়োজন করেন।

রাজিবুল আহসান সুমনের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রফিকুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মাস্টার শহিদ উল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ফোরকান উদ্দিন আহমেদ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, চেয়ারম্যান আবুল খায়ের নাদিমসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অতিথি থাকার কথা ছিল।

জানা যায়, ১৫ দিন আগে ঘোষিত উক্ত কর্মসুচি সফল করতে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি দিদারুল আলমকে আহ্বায়ক করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ কর্মসূচির সভা সফল করার জন্য কাজ শুরু করে। ইতিমধ্যে সভাস্থলে প্যান্ডেল, এক হাজার গাছের চারা, আগতদের জন্য খাবারের ব্যবস্থাসহ যাবতীয় আয়োজন সম্পন্ন করা হয়।

এরমধ্যেই বুধবার রাত ১২টায় সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম রাজিবুল আহসান সুমনকে ফোন করে জানান তাঁর অনুষ্ঠানস্থলে ছাত্রলীগের একটি অংশ আরেকটি সভা আহ্বান করেছে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছ থেকে জানার পর তিনি গভীর রাতে জেলা পুলিশ সুপারকে বিষয়টি অবহিত করেন এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ কর্মসূচীর অনুষ্ঠানটি যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে পুলিশ প্রশাসনের সাহায্য চান। সেই মোতাবেক বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ কর্মসূচির শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য জেলা পুলিশের সহকারী সুপার আশরাফুল ইসলাম নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম সকাল বৃহস্পতিবার সন্দ্বীপ পৌঁছান।

জানা যায়, কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য রাজিবুল আহসান সুমন আজ সকাল ১১ টায় সন্দ্বীপ ঘাটে পৌঁছলে সেখানে নেতাকর্মীরা তাঁকে অভ্যর্থনা জানান।

পরে তিনি মোটর শোভাযাত্রা নিয়ে সমাবেশে যাওয়ার পথে স্থানীয় এনাম নাহার মোড়ে মোটর শোভাযাত্রায় স্থানীয় সাংসদ মাহফুজুর রহমান মিতার মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীরা হামলা করে বলে অভিযোগ উঠে। এতে ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা বেলাল উদ্দিন সুমন, দিলদার, সোহাগ, ভুট্রো, সাদ্দামসহ ৩০ নেতা কর্মী আহত হন এবং ১৫ টির বেশি মোটর সাইকেল ভাংচুর করা হয় বলে দাবি করা হয়।

পরে রাজিবুল আহসান সুমন উদ্ভত পরিস্থিতি নিয়ে সার্কেল এএসপি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে বৈঠক করেন এবং বৈঠকে তিনি তাঁর গাড়িবহরে নেতাকর্মীদের উপর হামলার জন্য স্থানীয় সাংসদ মাহফুজুর রহমান মিতাকে দায়ী করেন এবং হামলাকারী সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানান।