বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বিজয়া দশমী আজ: মণ্ডপে মণ্ডপে বিদায়ের সুর

প্রকাশিতঃ ৫ অক্টোবর ২০২২ | ৭:৫৪ পূর্বাহ্ন


ঢাকা : আজ মর্ত্য ছাড়বেন দেবী দুর্গা। ফিরবেন কৈলাশে। অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শুভ ও কল্যাণ এবং সব সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে নিরন্তর শান্তি ও সম্প্রীতির আকাঙক্ষা নিয়ে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে আজ বুধবার (৫ অক্টোবর) শেষ হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।

গত শনিবার ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে যে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়, তা আজ প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। এর ফলে দুর্গোৎসবের শেষ দিনে বিদায়ের সুর বেজে উঠেছে প্রতিটি মণ্ডপে মণ্ডপে।

সনাতনী শাস্ত্রমতে এবার দেবী দুর্গা জগতের মঙ্গল কামনায় গজে চড়ে মর্ত্যলোকে এসেছেন। এতে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঝড়বৃষ্টি হবে এবং শস্য ও ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে নৌকায় চড়ে স্বর্গে বিদায় নেবেন।

আজ সকাল থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে ঢল নামবে ভক্তদের। বাজবে শঙ্খধ্বনি। টানা মন্ত্র পাঠ। উলুধ্বনি আর অঞ্জলি। সঙ্গে ঢাকের বাদ্য, নাচ, সিঁদুর খেলা। ধান, দুর্বা, মিষ্টি আর আবির দিয়ে দেবীকে বিদায় জানাবে ভক্তরা। আজ অনেক হিন্দু উপবাস করবেন। একদিকে বিদায়ের সুর। অন্যদিকে উৎসবের আমেজ।

বিভিন্ন মণ্ডপে চলবে আবির উৎসব। সকালে দেওয়া হবে দর্পণ ঘট বিসর্জন।

দশমীর দিনে সারাদেশের পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব পালন করছেন।

পূজামণ্ডপগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বেষ্টনী নির্মাণ, মণ্ডপে নারী ও পুরুষের আসা এবং বের হওয়ার আলাদা পথ, পরিচয় কার্ডধারী নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে ২৪ ঘণ্টা তদারকি তথা পাহারার ব্যবস্থা করা হয়।

গতকাল বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় মহানবমী পূজা উদযাপন করে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। তবে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে রাজধানীর পূজা মণ্ডপগুলোতে গতকাল ভক্ত-দর্শনার্থীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এই ভোগান্তির মধ্যেও মণ্ডপে মণ্ডপে ভক্তরা অঞ্জলি ও ভোগ দেন। অনেকেই পরিবার-প্রিয়জন নিয়ে আসেন দেবীকে শেষবারের মতো দেখতে। মন্ত্র আর উলুধ্বনিতে মুখর ছিল মণ্ডপগুলো।

এ ছাড়া প্রতিটি পূজামণ্ডপেই বিতরণ করা হয় প্রসাদ।

বিশ্বব্যাপী শান্তি, সম্প্রীতি আর ভ্রাতৃত্ববোধে জেগে উঠুক- এই প্রার্থনা জানান ভক্তরা। আর নবমী পূজা ও সন্ধ্যা আরতি শেষে বাজতে শুরু করে বিদায়ের সুর।

বিজয়া দশমী উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি। বেতার ও টেলিভিশনে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করা হবে। সংবাদপত্রগুলো বিশেষ নিবন্ধ ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে।