চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের সাগরিকায় ২২ গজে লাল-সবুজের পতাকা পত পত করেই উড়ছে। পুণ্যভূমি সিলেটে ওয়ানডে সিরিজে আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পা রেখেছে বাংলাদেশ দল।
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শুরুটাও দারুণ ভাবে হয়েছে সেখানে। মারকুটে ব্যাটিংয়ের পর পেসারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ২২ রানের জয় তুলে নিয়েছে লাল-সবুজ জার্সীধারীরা। বুধবার সাকিব আল হাসানের দলের সামনে সুযোগ এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করার। সাকিব অবশ্য তার সতীর্থদের কাছ থেকে প্রথম ম্যাচের মতো এমন অলরাউন্ড পারফরম্যান্সই প্রত্যাশা করছেন।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর ২টায়। যা সরাসরি সম্প্রচার করবে জিটিভি ও টি-স্পোর্টস।
ওয়ানডে ফরম্যাটে আয়ারল্যান্ডকে সহজে হারালেও টি-টোয়েন্টি নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তা ছিল। যদিও সব শঙ্কা উড়িয়ে দারুণ এক জয় তুলে নিয়েছে। এছাড়া এই দলটির বিপক্ষে বাংলাদেশের অতীত পরিসংখ্যানও বেশ সমৃদ্ধ। এই ফরম্যাটে এখন পর্যন্ত ছয়টি ম্যাচ খেলেছে দুই দল। ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম দেখায় জিতেছিল আইরিশরা। তার পর বাংলাদেশেরই আধিপত্য। ২০১২ সালে আয়ারল্যান্ডের মাটিতে তিন ম্যাচের সিরিজ জিতেছে ৩-০ ব্যবধানে। ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ডের ম্যাচটি অবশ্য বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়েছে। তার পর সর্বশেষ দেখাতেও দাপট দেখিয়ে জিতেছে হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। আজ (বুধবার) জিততে পারলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করবে সাকিব আল হাসানের দল।
তাছাড়া বুধবার নতুন একটি মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে জিতে টি-টোয়েন্টিতে টানা চার ম্যাচে জয়ের স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। এর আগেও টানা চার জয়ের ইতিহাস ছিল। আজ জিততে পারলে টানা ৫ জয়ের মাইলফলকে পৌঁছাবে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
প্রথম ম্যাচ অনায়াসে জেতায় দ্বিতীয় ম্যাচের আগে নিশ্চিত মনে সময় কাটিয়েছে বাংলাদেশ। অবশ্য আয়ারল্যান্ডও বিশ্রামে কাটিয়েছে। টেস্ট দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে আইরিশ কোচিং স্টাফ অনুশীলনে এলেও বাংলাদেশ দলের কেউই অনুশীলন করেনি। সবাই হোটেল বন্দি হয়ে সময় কাটিয়েছে। অধিনায়ক সাকিব ব্যস্ত ছিলেন শ্যুটিং নিয়ে। অবশ্য যে যেভাবেই ব্যস্ত থাকুক; বাংলাদেশের লক্ষ্য একটাই- আজই সিরিজ নিশ্চিত করা।
প্রথম ম্যাচ জয়ের পরই সাকিব এমন ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন, ‘নিজেদের ইচ্ছে অনুযায়ী আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে পেরেছে দল। আমরা এটাই চাই। এক বা দু’জনের পক্ষে সব সময় অবদান রাখা কঠিন। পরের ম্যাচেও এই ধরনের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স চাই। পরের ম্যাচগুলোতে এমন ইতিবাচক থেকে জয়ের চেষ্টা অব্যাহত রাখবো।’
প্রথম ম্যাচের মতো একই একাদশ নিয়ে মাঠে নামতে পারে বাংলাদেশ দল। তবে আয়ারল্যান্ড একাদশে বেশ কিছু বদল আসতে পারে।