আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেন থেকে বেলগরদ অঞ্চলের সীমান্তে দিয়ে প্রবেশ করা ৭০ জনের বেশি হামলাকারীকে হত্যার দাবি করেছে রাশিয়া।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, মঙ্গলবার ইউক্রেন থেকে আসা হামলাকারীদের সঙ্গে রুশ বাহিনীর ২৪ ঘণ্টার মতো লড়াই হয়। সে লড়াই শেষে পিছু হটেন হামলাকারীরা।
রাশিয়ার ভাষ্য, ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর পর সবচেয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ সীমান্ত হামলায় জড়িত সশস্ত্র সংগঠনগুলোর সেনাদের নির্মূলে বিমান ও কামান হামলা চালানো হয়।
রুশ কর্তৃপক্ষ জানায়, দ্বিপক্ষীয় লড়াইয়ের সময় কামান ও গোলার আঘাতে রাশিয়ার ১৩ নাগরিক আহত হন। উদ্ধারের সময় এক নারীর মৃত্যু হয়। এর বাইরে কোজিঙ্কা গ্রামে এক বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।
রাশিয়ার কর্মকর্তারা জানান, লড়াইয়ের সময় সীমান্তবর্তী ৯টি গ্রাম খালি করা হয়।
বুধবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আরআইএ বা রিয়া নভোস্তির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সর্বমোট ৭০ জনের বেশি জঙ্গি, চারটি সাঁজোয়া যান ও পাঁচটি পিকআপকে নাশ করা হয়েছে। আজ বেলগরদ অঞ্চলে (সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান) বাতিল করা হয়েছে।’
প্রতিবেদনে হামলাকারীদের ‘ইউক্রেনের নাশকতা ও তথ্য নিতে আসা গ্রুপ’ হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ জানান, স্থানীয় সেনা, বিমান হামলা ও কামানের মাধ্যমে শত্রুদের বিনাশ করা হয়েছে। বাদবাকি সেনাদের ইউক্রেনের ভূখণ্ডে ঠেলে দেয়া হয়েছে। পুরোপুরি নির্মূল হওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের ওপর গোলাবর্ষণ করা হবে।
রাশিয়ায় অনুপ্রবেশ করে হামলার দায় স্বীকার করেছে পুতিনবিরোধী সশস্ত্র সংগঠন ফ্রিডম অফ রাশিয়া লিজন ও রাশিয়ান ভলান্টিয়ার কোর (আরভিসি), তবে এ হামলার সঙ্গে কোনো ধরনের যোগসাজশ নেই বলে দাবি করেছে ইউক্রেন।