হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : হাটহাজারী পৌরসভায় মো. আরাফাত (২৩) নামের এক বন্ধুর মৃত্যুর প্রায় তিন ঘন্টা পর মো. আজম (২৪) নামের আরেক বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে আটটার দিকে এক বন্ধু আরফাত এবং সকাল ১১টার দিকে আরেক বন্ধু আজমের মৃত্যু হয়। হাটহাজারী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত আরাফাত পৌরসভার তিন নং ওয়ার্ডের আজিমপাড়াস্থ সাহাব্বীর বাপের বাড়ির মৃত মুছা সওদাগরের বড় ছেলে এবং মৃত মোহাম্মদ আজম একই এলাকার মোহাম্মদ নুরুল ইসলামের কনিষ্ঠ পুত্র।
আরফাতের ছোট ভাই রিপন জানান, সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে প্রতিদিনের মতো মেটালের দোকানে কাজে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন তার বড় ভাই আরফাত। এসময় বাথরুমে ঢুকার বেশ কিছুক্ষণ পরও বড় ভাই বের না হওয়াতে এবং সাড়া শব্দ না পাওয়ায় তার মা বড় ভাইকে ডাকতে বাথরুমে গিয়ে দেখেন ভাই নিচে পড়ে আছেন। এ সময় মা চিৎকার করে কান্নাকাটি শুরু করলে কান্নার শব্দে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে ভাইকে উদ্ধার করে দ্রুত পৌর সদরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার জানান, হাসপাতালে পৌঁছার আগেই বড় ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।
রিপন কান্না জড়িত কন্ঠে একুশে পত্রিকাকে জানান, ভাইয়ের জন্য ফতেপুরের জোবরা গ্রাম থেকে পাত্রী ঠিক করা হয়েছিল। আর কয়েকদিন পরই ভাইয়ের বিয়ে হবার কথা। বর সাজার কথা। কিন্তু এভাবে চিরদিনের জন্য চলে যাবেন তা ভাবতেই বুক ফেটে যাচ্ছে।
এদিকে মৃত আরাফাতকে বাড়িতে আনার পর একই বাড়ির বাল্যবন্ধু সিএনজি অটোরিকশা চালক মোহাম্মদ আজমসহ মৃত আরাফাতকে গোসল করানোর সময় সকাল ১১টায় দিকে আজম হঠাৎ বুকে তীব্র ব্যাথা অনুভব করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে পরিবারের লোকজনসহ স্থানীয়রা আজমকে দ্রুত হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আজমের অবস্থা সংকটাপন্ন দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যেতে পরামর্শ দেন। তারা আজমকে চমেক হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
একইদিন আছর নামাজের পর কালা চাঁন ফকির রহ. জামে মসজিদ মাঠ প্রাঙ্গণে মৃত আরফাত এবং বাদে এশা মৃত আজমের জানাজার নামাজ শেষে কালা চাঁন দিঘীর পাড়স্থ পারিবারিক কবরস্থানে পাশাপাশি তাদের দাফন করা হয়।
পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ আজম উদ্দীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
