বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের কালুরঘাটে ফেরিঘাট নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন চট্টগ্রাম জজ কোর্টের আইনজীবী সেলিম চৌধুরী। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে একটি আবেদন জমা দেন তিনি।
এতে কালুরঘাটে ফেরিঘাট নির্মাণে সড়ক ও জনপথ বিভাগের চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমার বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়।
জনস্বার্থে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর করার আবেদন জানিয়ে এতে বলা হয়, পরিকল্পনাহীনভাবে ফেরিঘাট নির্মাণের কারণে প্রতিনিয়ত জনদুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বোয়ালখালীসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের লাখ লাখ মানুষকে।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বোয়ালখালীসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের প্রতিনিয়ত যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম কালুরঘাট সেতু। এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন অর্ধলক্ষাধিক লোক চলাফেলা করেন। গত ১ আগস্ট কালুরঘাট সেতু সংস্কারের জন্য বন্ধ করা হলে কালুরঘাটে ফেরি সার্ভিস চালু করা হয়।
এই ফেরিঘাট যথাযথভাবে নির্মাণ করা হয়নি দাবি করে লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ফেরিঘাট নির্মাণ ও বিকল্প পথের জন্য ৪ কোটি ৮ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হয়। সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমার তত্ত্বাবধানে এটি নির্মাণ করা হলেও কোনো ধরণের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়নি। এছাড়া অপরিকল্পিতভাবে এটি নির্মাণ করা হয়। ফলে বর্তমানে জনদুর্ভোগের শেষ নেই। এতে বিতর্কিত হচ্ছে সরকার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগকারী অ্যাডভোকেট সেলিম চৌধুরী বলেন, অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণের কারণে ফেরিঘাট কাজে আসছে না। প্রতিদিন কত দুর্ভোগ সাধারণ মানুষ পোহাচ্ছে তা ফেরিঘাটে না আসা পর্যন্ত কেউ বুঝবেন না। বিশেষ করে জোয়ারের পানিতে ফেরিঘাট ডুবে গেলে কত কষ্ট হয়-তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। সওজের অবহেলা ও অব্যবস্থাপনা কারণে এমন হচ্ছে। তাদের দায়িত্বজ্ঞানহীন নির্মাণ পরিকল্পনার ফলে দুর্ভোগে পড়ছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ।
তিনি আরও বলেন, এ ধরণের অনিয়মের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হলে ভবিষ্যতে দুর্নীতি কমবে, বাড়বে সরকারের জনপ্রিয়তা।
অভিযোগের বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমার বক্তব্য জানা যায়নি।