ঢাকা : চিকিৎসা সেবা বাদ দিয়ে ডাক্তাররা রোগীদের নিয়ে ব্যবসা খুলে বসেছেন বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। এ বার্তা জাতির কাছে যাওয়া উচিত বলেও মনে করেন আদালত। যাতে এ ধরনের ব্যবসা থেকে ভবিষ্যতে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নেয়।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) একটি মামলার আগাম জামিন শুনানির সময় বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি ড. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই মন্তব্য করেন।
হবিগঞ্জে একটি ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর ঘটনার মামলায় আগাম জামিন আবেদনের শুনানিতে আদালত বলেন, এসব ম্যাসেস (বার্তা) জাতির কাছে যাওয়া উচিত, যাতে এ ধরনের ব্যবসা থেকে ভবিষ্যতে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নেয়।
ভিকটিমদের সেবার নামে সিন্ডিকেটের কবলে চিকিৎসাব্যবস্থা মন্তব্য করে আদালত বলেন, আগে দেখতাম পরিবারের কোনো সদস্য ডাক্তার হলে তাদের কোনো আত্মীয়-স্বজনরা ক্লিনিক খুলতেন। এখন ডাক্তারের পরিবার নয়, যে কেউ ক্লিনিকের ব্যবসা করছেন। তাছাড়া সরকারি হাসপাতাল থেকে দালালদের মাধ্যমে ক্লিনিকে রোগী নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
হবিগঞ্জের দি জাপান বাংলাদেশ হসপিটালের ডাক্তার এসকে ঘোষের বিরুদ্ধে রোগী শেফালীকে অপারেশনের সময় বাম পাশের কিডনি ও জরায়ু কেটে ফেলার অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় গত ২৪ অক্টোবর একটি মামলা হয়। ওই মামলায় আজ ডা. এসকে ঘোষ, প্রতিষ্ঠানটির মালিক, ম্যানেজার ও একজন অফিস সহকারী আগাম জামিন নিতে আসেন।
তবে উচ্চ আদালত তাদের জামিন না দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আসামিদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।