চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মোতালেবের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রমাণ দিতে পারেননি একই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. আবু রেজা মোহাম্মদ নিজামুদ্দিন নদভী।
যা উঠে এসেছে নির্বাচন কমিশনের সচিব বরাবর পাঠানো চট্টগ্রাম-১৫ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ মনিরের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে।
এর আগে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে এম এ মোতালেব জামায়াত-শিবিরের কর্মী নিয়ে রিয়াজউদ্দিন বাজারের হোটেল রিজেন্ট পার্কে রুদ্ধদ্বার বৈঠক, লোহাগাড়ার সৈয়দ মিয়ার বাড়িতে মতবিনিময় সভা ও ভোটারদের মাঝে নগদ টাকা প্রদান করেছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন নদভী।
গত ৩ ডিসেম্বর রিটার্নিং অফিসারের কাছে এ অভিযোগ করেন নদভী। অভিযোগটি অনুসন্ধানের জন্য রিটার্নিং অফিসারের পক্ষ থেকে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে পাঠান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।
এরপর নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে বক্তব্য দেন নদভী। অভিযোগের বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দেন এম এ মোতালেবও।উভয় পক্ষ ছাড়াও স্থানীয়ভাবে অনুসন্ধান ও সাতকানিয়া থানা থেকেও তথ্য নেয় নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
অনুসন্ধান শেষে নির্বাচন কমিশন সচিব বরাবর অনুসন্ধান প্রতিবেদন পাঠান কমিটির চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ মনির।
এতে উল্লেখ করা হয়, রিজেন্ট পার্কে রুদ্ধদ্বার বৈঠক, লোহাগাড়ার সৈয়দ মিয়ার বাড়িতে নির্বাচনি প্রচারণার অংশ হিসেবে মতবিনিময় সভা ও ভোটারদের নগদ টাকা প্রদানের বিষয়ে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।
এসব অভিযোগের বিষয়ে নদভী জবানবন্দিতে কিছু বলেননি ও সাক্ষী উপস্থাপন করতে পারেননি বলেও অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ মোতালেব বলেন, ঈর্ষান্বিত হয়ে পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অভিযোগ করা হয়েছিল। নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার এবং নির্বাচন কমিশনকে সব ধরণের সহযোগিতা প্রদানে আমি বদ্ধপরিকর।