চট্টগ্রাম : বাঁশখালীর ছাত্রলীগ কর্মী নোমানসহ তার পরিবারের লোকজনকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মো. ইউনুছ খোকনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হকের আদালতে জামিন শুনানির জন্য হাজির হন ইউনুছ খোকন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিষয়টি একুশে পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. নুরুল আবছার।
জানা যায়, গত জানুয়ারিতে পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে ছাত্রলীগ কর্মী আবু নোমানের উপর অতর্কিত হামলার অভিযোগ উঠে ইউনুছ খোকন, তার ভাই আনাচ, বোন এবং বোনের স্বামী আতিকের বিরুদ্ধে।
তখন গুরুতর আহত নোমানকে বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চমেক হাসপাতালে রেফার করেন। মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পাওয়া নোমানকে নিউরো বিভাগে ভর্তি করা হয়।
প্রায় একমাস সেখানে ভর্তি থাকার পর নোমানের অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন হলেও তার মাথায় জখম, প্রচণ্ড ব্যথা রয়ে যায়। চোখেও ভালো করে দেখতে পান না। এসব যন্ত্রণা নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করেছেন তিনি।
এ ঘটনায় ইউনুছ খোকনসহ ১২ জনকে আসামি করে বাঁশখালী থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন আবু নোমানের চাচা ছনুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল বশর। এতে ৩ নং আসামি করা হয় ইউনুছ খোকনকে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আবু নোমানের বাবা আবু ছৈয়দ বলেন, আসামির ভাইয়েরা গ্রেপ্তার হলেও ইউনুছ খোকন দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়িয়েছেন, নিজেকে সরকারি দলের লোক পরিচয় দিয়ে অবাধে চলাফেরা করেছেন; এমনকি বাদী পক্ষকেও পাল্টা হুমকি-ধমকি দিয়েছেন। রাজনৈতিক পরিচয়ে এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।