রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

ফটিকছড়িতে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ, বিশেষ প্রার্থনা

প্রকাশিতঃ ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৩:০৬ অপরাহ্ন


ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) : তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত। গ্রীষ্মের তাপদাহ ও খরায় পুড়ছে মানুষ। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। বৃষ্টি না হওয়ার খাল বিল শুকিয়ে গেছে। পানির অভাবে ফসলের খেত ফেঁটে চৌঁচির। সর্বত্র হাহাকার। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে সৃষ্টিকর্তার কাছে দুই রাকাত ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ।

আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল এগারটায় উপজেলার নারায়ণহাট কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে এলাকার হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশ নেন।

নামাজ পূর্ব আলোচনায় ইসতিকসকার নামাজের নিয়ম-কানুন জানান মীর্জারহাট কেন্দ্রিয় মসজিদের খতিব মাওলানা মো. আলী আজম সিরাজী। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তি পেতে বিশেষ মোনাজাত করেন তিনি। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, উপজেলার নারায়ণহ মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা মো. শহীদুল্লাহ ও মাওলানা মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।

নামাজ আদায় করতে আসা স্থানীয় বাসিন্দা মো. আবু তাহের বলেন, গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা ক্রমে বাড়ছেই। এ জন্য আমরা মহান আল্লাহর দরবারে প্রশান্তির বৃষ্টি চেয়েছি। যেকোনো বিপদ থেকে রক্ষা পেতে আমরা প্রথমেই সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করি। এ নামাজ ও দোয়ার মধ্য দিয়ে সেই কাজ করা হলো।

মো. রাশেদ সুজন নামের এক মুসুল্লি বলেন, আমার বয়স ৪০ বছর। আমার জীবনে আমি এমন গরম দেখি নাই। এই তীব্র গরম থেকে বাঁচতে বিশেষ নামাজ পড়লাম। আল্লাহ যেন বৃষ্টি দেয়, পরিবেশটা যেন ঠান্ডা হয়ে যায়।

মুহাম্মদ সেলিম নামের এক মুসুল্লি বলেন, সারাদেশে যে তীব্র দাবদাহ চলছে। এজন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলাম এবং নামাজ আদায় করলাম। আল্লাহ যেন রহমতের বৃষ্টি বর্ষণ করেন জমিনে।

চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, এক সপ্তাহ ধরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি থেকে ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে ওঠা-নামা করছে। তবে আপাতত তাপমাত্রা কমার কোন সম্ভাবনা নেই।

বিশেষ নামাজে মোনাজাত পরিচালনাকারী মাওলানা মোহাম্মদ আলী আজম সিরাজী বলেন, বর্তমানে আবহাওয়ার বৈরী অবস্থা। তীব্র খরার কারণে গোটা দেশে দাবদাহ সৃষ্টি হয়ছে। ফলে পরিবেশের উপর প্রভাব পড়েছে। এ থেকে পরিত্রাণের জন্য বিশেষ নামাজ আদায় করলাম। বিশেষ দোয়া করলাম।