একুশে প্রতিবেদক : গত দুই বছরে বিদেশি ফলের দাম বৃদ্ধির ফলে আমদানি কমেছে ২৮ শতাংশ। তবে এর বিপরীতে আমদানি খরচ বেড়েছে। ক্রেতাদের ফল কেনার খরচও বেড়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকায়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিদেশি ফল আমদানি কমেছে ১০ হাজার টন। এর প্রধান কারণ হলো ডলার সংকটের কারণে শুল্ক-কর বৃদ্ধি এবং ডলারের বিনিময় মূল্য বৃদ্ধি পাওয়া।
আমদানি করা ফলের মধ্যে ৯৫ শতাংশই আপেল, মাল্টা, কমলা, আঙুর এবং আনার। বাকি ৫ শতাংশ হলো নাসপাতি, কিনুই, কতবেল, অ্যাভোকাডো, রাম্বুটান, কিউই ইত্যাদি।
কৃষিবিদদের মতে, দেশে ফল উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদেশি ফলের চাহিদা কিছুটা কমেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এক দশক আগে দেশে বছরে এক কোটি টন ফল উৎপাদিত হতো, যা এখন বেড়ে হয়েছে দেড় কোটি টন।
আমদানি খরচ বৃদ্ধির প্রধান কারণ হলো শুল্ক-কর এবং ডলারের মূল্যবৃদ্ধি। দুই বছর আগে বিদেশি ফল আমদানিতে শুল্ক-কর ছিল ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ। ২০২২ সালের মে মাসে এটি বেড়ে দাঁড়ায় ১১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ।
আমদানি খরচ এবং শুল্ক-কর বৃদ্ধির ফলে ফলের দাম বেড়েছে, যা ক্রেতাদের পকেটে চাপ সৃষ্টি করছে। গত অর্থবছরে শুধু আপেল কেনাতেই ক্রেতাদের খরচ হয়েছে ন্যূনতম ৪ হাজার ৭৪৬ কোটি টাকা।
চার-পাঁচ বছর আগেও ৩৫টি দেশ থেকে ফল আমদানি করা হতো। বর্তমানে জাহাজভাড়া বৃদ্ধির কারণে আমদানিকারকেরা কাছাকাছি উৎস থেকে ফল আমদানি করছেন। ফলে আমদানির উৎস দেশের সংখ্যা কমে ২২টিতে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলামের মতে, শুল্ক-কর ও ডলারের দাম বৃদ্ধির ফলে আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় এই খাতের সামনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম।