ডলারের দামে ঊর্ধ্বগতির কারণ কী?


ঢাকা : খোলাবাজারে ডলারের দাম বেড়ে ১২৫ টাকা হওয়ায় নগদ ডলারের দামে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। দুই সপ্তাহ আগে ১১৮-১১৯ টাকায় থাকা ডলারের দাম এখন ১২৪-১২৫ টাকায় উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় কমে যাওয়ায় খোলাবাজারে এর প্রভাব পড়েছে।

খোলাবাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রবাসীদের আনা ডলার কমে যাওয়ায় ডলারের সরবরাহ কমেছে এবং দাম বেড়েছে।

এবিবির চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, সাম্প্রতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে দাম বাড়ানো হয়েছে এবং তা শীঘ্রই কমে আসবে। তিনি আরও বলেন, অর্থনীতিতে খোলাবাজারের ডলারের দামের তেমন প্রভাব নেই।

খোলাবাজারে ডলারের দাম ১২২ টাকা থেকে বেড়ে ১২৫ টাকায় উঠেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের জোগান কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে।

ব্যাংকগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্যাংকগুলো আগের দামেই ডলার বিক্রি করছে, তবে পরিচিত গ্রাহক ছাড়া অন্যদের কাছে তেমন ডলার বিক্রি করছে না।

ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রবাসী আয় কমে যাওয়ায় হুন্ডির মাধ্যমে বেশি আয় পাঠানো হচ্ছে। এছাড়া অনেকে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নগদ ডলার কিনে রাখছেন, যা বাড়তি চাপ তৈরি করেছে।

২১ থেকে ২৭ জুলাই—সাত দিনে প্রবাসী আয় এসেছে মাত্র ১৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এর মধ্যে ১৯-২৩ জুলাই সময়ে সরকারি ছুটি ও সাধারণ ছুটির কারণে ব্যাংক বন্ধ ছিল। এ ছাড়া টানা ৫ দিন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ও ১০ দিন মোবাইলে ইন্টারনেট–সেবা ছিল না। পাশাপাশি ১৯ জুলাই রাত থেকে কারফিউ জারি রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, কেউ বিদেশ থেকে প্রবাসী আয় দেশে পাঠালে ব্যাংকগুলো তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিতরণ করতে বাধ্য। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দেশের প্রবাসী আয় প্রেরণকারী রেমিট্যান্স হাউসগুলো যদি এ আয় ধরে রাখে, তাহলে তা দেশে আসতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে সাধারণত দু-তিন দিনের বেশি দেরি হয় না।

এদিকে প্রবাসী আয় কমে যাওয়ায় দেশের শীর্ষ এক ডজন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) ডেকে নিয়ে প্রবাসী আয় বাড়ানোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলো প্রতি ডলার ১১৭-১১৮ টাকা দরে প্রবাসী আয় সংগ্রহ করে আসছিল। প্রবাসী আয় কমে যাওয়ায় তাদের কিছুটা বাড়তি দাম দিয়ে হলেও তা বৈধ পথে দেশে আনতে বলা হয়েছে।