চট্টগ্রাম : নগরের নিউমার্কেট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী এবং পুলিশ ও সরকারদলীয় কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৪৫ জন আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১৬ জন গুলিবিদ্ধ এবং দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জানান, উভয় পক্ষের কর্মসূচি পালনের চেষ্টার সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ পরিস্থিতি नियন্ত্রণে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে শিক্ষার্থীরা জড়ো হলেও পুলিশ উপস্থিত ছিল না। পরে পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল ছোঁড়ে এবং শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে।
তবে এর মিনিট দশেক পরেই শিক্ষার্থীরা আবারও নিউমার্কেট চত্বরে জড়ো হয় এবং বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। তখন ফের পুলিশ টিয়ারশেল-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এসময় শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে যোগ দেয় সরকারদলীয় নেতাকর্মীরাও। এসময় কয়েক রাউন্ড গুলির আওয়াজও শোনা গেছে। এ সময় বহু শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হন। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা নিউমার্কেট সড়ক ছেড়ে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে যায়।
এরপরেই সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা নিউমার্কেট চত্বরে অবস্থান নেন। এরপর পুলিশ সেখান থেকে সরে যায়। বর্তমানে নিউমার্কেট, রাইফেল ক্লাব, স্টেশন রোড এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সংঘর্ষের পর বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া আন্দোলনকারীদের একটি অংশ লালদিঘীতে জমায়েত হয়েছে। আরেক অংশ অবস্থান নিয়েছে টাইগারপাস-স্টেশন রোডে।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, নিউমার্কেট মোড়ে সংঘাত থেকে একের পর এক ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আসছে। এ পর্যন্ত ৪৫ জনের মতো চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছে। তবে তাদের নাম পরিচয় এখনই দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান তিনি।